কাল ঈদগাহে জানাজা, পরশু চট্টগ্রামে দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১০-১৮ ১৬:০৯:৪৭


ব্যান্ডতারকা আইয়ুব বাচ্চুর নামাজে জানাজা কাল শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হবে।
আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কাল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। সেখানে জানাজা শেষে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নেওয়া হবে চট্টগ্রামের পৈতৃক নিবাসে। সেখানে শনিবার মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আইয়ুব বাচ্চু।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু ইন্তেকাল করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
আইযুব বাচ্চুর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, আজ সকালে শরীর খারাপ লাগলে আইয়ুব বাচ্চুর ব্যক্তিগত গাড়িচালক তাঁকে নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। গাড়িতে তোলার সময়ই তাঁর মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল। সকাল সোয়া নয়টার দিকে তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
চিকিৎসকেরা জানান, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকাল সোয়া ৯টার দিকে তিনি মারা যান।
স্কয়ার হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. মির্জা নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, জরুরি বিভাগে কার্ডিয়াক কনসালট্যান্ট মুনসুর মাহবুবের উপস্থিতিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে আইয়ুব বাচ্চুর হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে আইয়ুব বাচ্চুকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মির্জা নাজিমুদ্দিন বলেন, ‘আমরা আইয়ুব বাচ্চুকে মৃত অবস্থাতেই পাই। তার পরেও আমাদের স্পেশাল টিম তাঁকে ফিরিয়ে আনার সব রকমের চেষ্টা করে। তিনি বহুদিন ধরে হৃদ্‌রোগে ভুগছিলেন। তাঁর হার্টে কার্ডিয়োমাইপ্যাথি ছিল। ২০০৯ সালে তাঁর হার্টে একটি স্টেন্ট পরানো হয়।’
মির্জা নাজিমুদ্দিন জানান, তিন সপ্তাহ আগে আইয়ুব বাচ্চু স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের কার্যকারিতা ছিল ৩০ শতাংশ, যেখানে একজন সুস্থ মানুষের থাকে ৭০ শতাংশ। এ জন্যই বারবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হতো। হার্টের কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁর মুখ থেকে পানির মতো ফেনা বের হচ্ছিল।
বাংলা ব্যান্ডসংগীতের ইতিহাসের এই কিংবদন্তি শিল্পী ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বামবার নেতারা।
ব্যান্ডতারকা লাবু রহমান বলেছেন, আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একজন শিক্ষক। আমাদের দেশে ব্যান্ডসংগীতে এ রকম শিক্ষক নেই বললেই চলে। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমরা সবাই তাঁকে মিস করব।’