আবার কারাগারে মির্জা ফখরুল
আপডেট: ২০১৫-১১-০৪ ১০:২১:৫৫
রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে করা তিন মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকার সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর আদালত তাকে কাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার বেলা ৪ টায় আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করেন মির্জা ফখরুল। দীর্ঘ শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে মির্জা ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জেষ্ঠ্য আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নাল আবেদীন, সানা উল্লাহ মিয়া, মাসুদ তালুকদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু।
শুনানিতে ফখরুলের আইনজীবীরা বলেন, ‘মির্জা ফখরুল অসুস্থ্য। তিনি সম্পূর্ণভাবে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে আছেন। আগামী ২৪ তারিখ তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বিদেশে যেতে হবে। ফখরুল বেঁচে থাকলে মামলার সাজা যাই হোক তিনি ভোগ করতে পারবেন। তাই আইনজীবীরা যে কোনো শর্তে তাকে জামিন দেওয়ার আবেদন জানান।’
গত ২৮ অক্টোবর গাড়ি পোড়ানো ও নাশকতার তিন মামলায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে সুপ্রিমকোর্টে আট সপ্তাহ সময়ের প্রার্থনা করেছিলেন বিএনপির এই নেতা।
রাজধানীর পল্টন থানায় নাশকতার অভিযোগে করা এ তিন মামলায় ১৩ জুলাই আপিল বিভাগ ফখরুলের অসুস্থতার কারণ বিবেচনায় নিয়ে এ মামলাগুলোতে তাকে ছয় সপ্তাহের জামিন দেন। এরপর চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় আরো দুই দফা সময় নেন মির্জা ফখরুল। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গতকাল সোমবার।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। এছাড়া প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চে দুই সপ্তাহের মধ্যে শুনানি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।
গত ২৮ অক্টোবর আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ফখরুলের পক্ষে এই আবেদন করেন তার আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। মির্জা ফখরুলের আত্মসমর্পণের মেয়াদ আরও ৮ সপ্তাহ বাড়ানোর আবেদন জানানো হয় ওই আবেদনে।
এর আগে হরতাল-অবরোধে নাশকতার অভিযোগে করা তিন মামলায় স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে গত ১৩ জুলাই আপীল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৬ সপ্তাহের জন্য বহাল রাখেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ২৪ আগস্ট আত্মসমর্পণের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য মির্জা ফখরুলের পক্ষে আবেদন জানানো হয়। ৩১ আগস্ট ওই আবেদনের শুনানি করে আপীল বিভাগ প্রথম দফায় তার আত্মসমর্পণের মেয়াদ ৬ সপ্তাহের জন্য বৃদ্ধি করেন। এরপর দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণের জন্য আরও ৮ সপ্তাহ সময় চেয়ে ফখরুলের আইনজীবীদের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ অক্টোবর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ২ নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করেন।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ঘিরে বিএনপির আন্দোলনের মধ্যে গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের পর গ্রেফতার হন মির্জা ফখরুল।