ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পেপারলেস (কাগজবিহীন) প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখতে চায় সরকার। এটি বাস্তবায়নে এনবিআর চেয়ারম্যানকে সুনির্দিষ্টি সময় নির্ধারণের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ।
রোববার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনের নাগরিক সেবায় উদ্ভাবন 'ইনোভেশন শোকেসিং' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এ তাগিদ দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এ সময় বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদসহ এনবিআরের সদস্য, কমিশনার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাজস্ব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় এনবিআরকে কাগজবিহীন করার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। তাই এনবিআরকে কাগজবিহীন দফতর করা যাবে কি-না? করলেও কতদিনে লাগতে পারে? এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত এনবিআরের কর্মকর্তারা দুই বছর সময় লাগবে বলে জানান।
তখন এনবিআরের চেয়ারম্যানের উদ্দেশে এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, আপনি (চেয়ারম্যান) আপনার কর্মকর্তাদের নিয়ে বসুন। তাদের সাথে আলোচনা করে কাগজবিহীন এনবিআর করার একটি সময় নির্ধারণ করুন। আপনি যে সময় নির্ধারণ করবেন এবং যে পরিকল্পনা করবেন, সেই অনুসারে আমরা অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের দফতরগুলোতেও সেই অনুসারে সময় নির্ধারণ করবো।
এনবিআর যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এই অগ্রগতি কেউ থামাতে পারবে না উল্লেখ করে আবুল কালাম আজাদ বলেন, যেভাবে আপনারা এনবিআরকে ডিজিটাল করছেন, সুপরিকল্পনা করে কর আহরণ যেভাবে বাড়িছেন, এটাকে সাধুবাদ। এনবিআরের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে সবধরনের সহায়তা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতি ছাড়া আর্থিক খাতকে দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব নয়। এনবিআর যে ১১টি সেবা উদ্ভাবন করেছে, সেই ১১টি সেবাকে একটি অ্যাপে আনতে হবে।
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, আমরা কাগজবিহীন দফতর করার অগ্রযাত্রা যদি শুরু করতে পারি, তাহলে সরকারি অন্য দফতরেও তা শুরু হবে।
এনবিআরে লোকবল বাড়ানো হবে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, লোকবল বাড়ানোর মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় আমরা এনবিআরের কার্যক্রম ও সেবা ছড়িয়ে দিতে চাই। এটা সত্যি যে এই সেবাকে ডিজিটাল করা সম্ভব হলে সহজেই তা সম্ভব হবে বলেও মনে করছি।
ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় এনবিআর ও সঞ্চয় অধিদফতরের ১১টি উদ্ভাবনকে শোকেসিংয়ের অধীনে আনা হয়েছে। এসব সেবা তথ্য তুলে ধরতেই এই অনুষ্ঠানের আয়োজন। অনুষ্ঠানে সেবার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন এনবিআর সদস্য (আয়কর) কানন কুমার রায়।