ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিলেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। সোমবার দুপুর সোয়া ১টায় রাজধানীর মতিঝিলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেতাদের সঙ্গে বর্ধিত সভা শেষে তিনি এ ঘোষণা দেন। বঙ্গবীর বলেন, এই মুহূর্ত থেকে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগদান করছি।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, পাকিস্তানি দোসররা যদি জনতার কাছে পরাজিত হতে পারে তাহলে লড়াইয়ের মাধ্যমে নব্য স্বৈরাচারও পরাজিত হবে। কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পাশে থাকবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। লড়াই করব আমরা, আর আইনি সহায়তা দেবেন ডক্টর কামাল হোসেন। আমি ও আমার স্ত্রী আমাদের সমস্ত মেধা ও শ্রম দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের পাশে থাকব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশ চালানোয় আজ এ অবস্থা হয়েছে। আমরা নিরন্তর চেষ্টা করেছি দেশের পরিস্থিতি সুষ্ঠু, স্বাভাবিক করতে। আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আলোচনায় সম্মত হওয়ায় আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, ডিসেম্বরে তিনি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাস। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৭ দফা দাবি আদায়ে লড়াই করতে একমত হয়েছেন। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। এ লড়াই গণতন্ত্রের লড়াই। আমরা মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী ঐক্যফ্রন্টে যোগদানের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারের লড়াই আরও সুদৃঢ় হলো।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ৭ দফা দাবি মানতে হবে। তা না হলে এ যাত্রায় রক্ষা নাই। ইভিএম ব্যবহার করা যাবে না। কিসের ইভিএম, ভোট চুরির? আমাদের দাবি মানতে হবে। নির্বাচন করতে চাইলে সমস্যার সমাধান করতে হবে। নির্বাচন না করে দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিলে সরকারকেই তার দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
বর্ধিত সভায় দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিনুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাসরিন সিদ্দিকীসহ দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
যোগদান অনুষ্ঠানে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব ছাড়াও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক মোস্তফা মহসীন মন্টু, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাকসুর ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।