গত বছর চালু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধনের (ই-বিআইএন) সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার। চলতি অর্থবছরেই (২০১৮-২০১৯) এই সংখ্যা দুই লাখে পৌঁছাতে পারে বলে আশাবাদ জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ই-বিআইএন) ব্যবহার করে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে বর্তমানে ভ্যাটের টাকা পরিশোধ করতে হয়। মূলত এনবিআরকে ডিজিটাল করতে সনাতন পদ্ধতির আগের ভ্যাট নিবন্ধন নম্বর (বিআইএন) অকার্যকর করা হয়েছে। ফলে ব্যবসা পরিচালানায় ই-বিআইএন এখন বাধ্যতামূলক।
জানতে চাইলে এনবিআর সদস্য (ভ্যাটনীতি) রেজাউল হাসান বলেন, ‘অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন চালুর পর থেকে ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। তবে অনেকের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে এখনও ভুল বোঝাবুঝি রয়ে গেছে। নতুন ভ্যাট আইন দুই বছরের জন্য স্থগিত করায় অনেকেই ভাবে, ই-বিআইএন নেওয়ার দরকার নেই। কিন্তু পুরাতন আইনেও ই-বিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে রেজাউল হাসান বলেন, ‘অনেকের নামেই পুরোনো ভ্যাট নিবন্ধন রয়েছে, যারা এখন ব্যবসা করেন না। ফলে তাদের অনেকের নিবন্ধনও অকার্যকর হয়ে গেছে। আমার মতে, নিবন্ধন খুব একটা বাড়বে না। তবে আগামী মার্চের মধ্যে হয়তো তা দুই লাখে পৌঁছাতে পারে।’
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, দেশে গত বছর থেকে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন শুর হয়। এর আগে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করতে চেয়েছিল সরকার। তবে একক (১৫ শতাংশ) হারে ভ্যাট আদায়ের বিষয়টি নিয়ে আপত্তি তোলেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যাপক আপত্তির মুখে দুই বছরের জন্য আইনটি স্থগিত করে সরকার। পরে অনেকটা ‘ভুল-বুঝাবুঝি’র মধ্যেই অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন কার্যক্রম এগিয়ে চলতে থাকে। প্রথম থেকেই এনবিআর বলে আসছে, নতুন আইন কার্যকর করতে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন চালিয়ে যেতে হবে। ফলে পুরনো আইনে সংশোধন এনে নিবন্ধনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এনবিআরের তথ্য মতে, সনাতন পদ্ধতিতে দেশে ভ্যাট নিবন্ধনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল সাড়ে ৮ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা দেড় লাখ ছুঁই ছুঁই। তবে, মাত্র ৩৭ হাজার প্রতিষ্ঠান ভ্যাট রিটার্ন জমা দেয়। তাই ভ্যাট থেকে রাজস্ব বাড়াতে সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মনে করেন এনবিআর কর্মকর্তারা।