পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ৬টি নতুন জাহাজের মধ্যে ইতিমধ্যে ২টি জাহাজ বিএসসি’র বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি ৪টি জাহাজ আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে ধারাবাহিকভাবে বিএসসি’র বহরে যুক্ত হবে।
এদিকে এই ৬ জাহাজ আমদানির ক্ষেত্রে ৩০০ কোটি টাকার কর মওকুফ পাচ্ছে বিএসসি। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পক্ষ থেকে বিএসসি থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে অব্যাহতি প্রদান করেছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
এনবিআরের ভ্যাট পলিসির সেকেন্ড সচিব তারিক হাসান জানিয়েছেন, শিপিং করপোরেশনের ক্যাপাসিটি শক্তিশালী করতে এবং এ খাতকে সক্রিয় করতে বিএসসি’র ৬টি জাহাজ আমদানিতে ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে।
জানা গেছে, চায়না ন্যাশনাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট মেশিনারিজ করপোরেশন থেকে এক হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ছয়টি জাহাজ কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি অয়েল ট্যাংকার ও বাকিগুলো বাল্ক ক্যারিয়ার।
এতে চীন সরকার দিচ্ছে এক হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা এবং বিএসসির নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে ৩৯৫ কোটি টাকা। দেশের বর্তমান চাহিদা বিবেচনায় বিভিন্ন ধরন ও আকারের কমপক্ষে ৪০-৫০টি জাহাজ থাকা বাঞ্চনীয়। বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারণে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে না পারায় বিগত ২৭ বছরে বিএসসির বহরে নতুন কোনো জাহাজ সংযোজিত হয়নি।
১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত বিএসসির বহরে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যুক্ত হয় মোট ৩৮টি জাহাজ। পুরনো ও বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক হওয়ায় ধাপে ধাপে ৩৬টি জাহাজ বিক্রি করে দেওয়া হয়।
বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকা দুটি লাইটার ট্যাংকারের গড় বয়স ৩০ বছর।
উল্লেখ্য, বিএসসির পক্ষ থেকে কয়লা পরিবহনের জন্য ছয়টি মাদার বাল্ক ক্যারিয়ার ও ১০টি লাইটার বাল্ক ক্যারিয়ার, এলএনজি পরিবহনের জন্য দুটি এলএনজি ভেসেল, ক্রুড অয়েল পরিবহনের জন্য দুটি মাদার ট্যাংকার, জ্বালানি তেল পরিবহনের জন্য দুটি মাদার প্রোডাক্ট অয়েল ট্যাংকার এবং ফিডার সার্ভিস চালুর জন্য চারটি সেলুলার কন্টেইনার জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে।