আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণের মধ্যদিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা উপ-সচিব এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিওগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে ফিড নিয়ে প্রচার করতে পারবে।
এদিকে গত মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, সংলাপ সফল না হলে, দাবি না মেনে তফসিল ঘোষণা হলে নির্বাচন কমিশন ভবন অভিমুখে পদযাত্রা করবে ঐক্যফ্রন্ট। ফখরুলের হুঁশিয়ারির পর বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয় আওয়ামী লীগ। সেখানে ৮ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার সিদ্ধান্তে অটল থাকতে ইসিকে পরামর্শ দেয় দলটি।
তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সতর্কাবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার পর রাজধানীতে টহল দিতে দেখা যায় র্যাব সদস্যদের। বিভিন্ন স্থানে সতর্ক প্রহরায় দেখা যায় টহল ও থানা পুলিশ সদস্যদের।
তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অরাজকতা বরদাশত করা হবে না উল্লেখ করে আগারগাঁও র্যাব-২ ব্যাটালিয়নের মেজর মোহাম্মদ আলী বলেন, বিশৃঙ্খলা যাতে না হয় সে জন্য নির্দেশনা রয়েছে। র্যাব-২ সদস্যরা রাজধানীতে বিশেষ করে আগারগাঁও এলাকায় টহলে ও সতর্কাবস্থানে রয়েছে।
অপরদিকে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আজকের সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। গত ১ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সংলাপে যেসব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপের বিষয়বস্তু নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর থেকে নির্বাচনকালীন সময়ের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। তবে ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন।
এ জন্য গত ১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি জানিয়েছে ইসি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।