টিকটিকি দেখতে যতটা নিরীহ, আসলে ততটাই বিষাক্ত। টিকটিকির ত্বক ও বর্জ্য শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। যখন তখন খাবারের মধ্যে বা গায়ের উপর পড়ে নানা সংক্রমণ ও ত্বকের প্রদাহ তৈরি করতে পারে। তাই বাড়ি টিকটিকিমুক্ত রাখতে হবে। তবে টিকটিকি তাড়ানো অতটাও সহজ নয়।
কিছু দামী রাসায়নিকে অল্প কিছুক্ষণের জন্য ঘরছাড়া হলেও আবার ফিরে আসতে সময় নেয় না। আর রাসায়নিক স্প্রে আমাদের শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। রাসায়নিক স্প্রে বাদ দিয়ে ঘরোয়া কিছু উপায় বেছে নিন। তাতে দীর্ঘদিন এই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাতে নেই কোনো ক্ষতিকর দিকও। চলুন জেনে নেই-
টিকটিকির উৎপাত যেখানে বেশি, সেখানে ছড়িয়ে রাখুন ডিমের খোসা। এর গন্ধে অল্প সময়েই টিকটিকিমুক্ত হবে জায়গাটি।
জানালার কোণে বা ভেন্টিলেটরে রেখে দিন রসুনের কোয়া। রসুনের কোয়ার গন্ধে বাড়ি টিকটিকিমুক্ত হবে সহজেই।
তামাকের কড়া গন্ধ টিকটিকি সহ্য করতে পারে না। কিছুটা কফি পাউডারের সঙ্গে তামাকের গুঁড়া মিশিয়ে ছোট ছোট গুলি আকারের বল তৈরি করে নিন। তারপর সেগুলো টিকটিকির চলাচলের পথে রেখে দিন। এতে সহজেই পালাবে টিকটিকি।
পেঁয়াজের মধ্যে থাকা সালফারের গন্ধ টিকটিকি সহ্য করতে পারে না। তাই টিকটিকির চলাচলের পথে বা জানালার কোণে কয়েক টুকরো পেঁয়াজ কিছু সময়ের জন্য রেখে দিলে সহজেই দূর হবে টিকটিকি।
গোলমরিচ বা শুকনো মরিচের গুঁড়ার গন্ধ টিকিটির মস্তিষ্ককে অবশ করে দেয়। তাই শুকনো মরিচ গোলমরিচের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে টিকটিকি উপদ্রুত এলাকায় স্প্রে করলে ঘরে টিকটিকি আসে না। তবে বাড়িতে শিশু থাকলে এই উপায় অবলম্বনে বাড়তি সতর্ক থাকুন।