ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী ফিলিস্তিনিদের জর্ডানের সাময়িক পাসপোর্ট ব্যবহার করে হজ বা ওমরাহ’র ভিসা আর ইস্যু করবে না সৌদি আরব। এর ফলে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি মুসলিম ইসলাম ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় এই রীতি পালন করতে পারবেন না। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
জর্ডানের পার্লামেন্টে ফিলিস্তিনি কমিটির প্রধান ইয়াহইয়া সৌদ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা করতে তার কমিটি জর্ডানের সৌদি দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
রিয়াদ ও তেল আবিবের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনও সম্পর্ক না থাকায় ইসরায়েলি নাগরিকরা সৌদি আরব ভ্রমণ করতে পারেন না। কিন্তু, আইনের একটি ফাঁক গলিয়ে ইসরায়েলি পাসপোর্টধারী মুসলিমরা প্রথমে জর্ডান যান; তারপর সেখান থেকে সাময়িক জর্ডানি পাসপোর্ট নিয়ে হজ বা ওমরাহ পালন করেন।
ইসরায়েল হজ কমিটির চেয়ারম্যান সালিম শালাতা ইসরায়েলি দৈনিক হারিটজকে বলেন, যা ঘটেছে সে ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও ব্যাখ্যা নেই, তার সাহায্যের সম্ভাব্য সব রাস্তার ব্যাপারে আমরা আবেদন জানাচ্ছি, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে আগামী ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য নিবন্ধন করা লাখ লাখ মানুষ, তাদের ধর্মীয় আচার পালন করতে পারবেন না।
ধারণা করা হচ্ছে, সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তে ইসরায়েলে বসবাসকারী প্রায় ১০ লাখ মুসলিম ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসে লেবাননের সাময়িক পাসপোর্ট ব্যবহার করে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের হজ ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব।
তারও আগে গেল আগস্ট মাসে, জর্ডানে বসবাসকারী গাজার ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানায় রিয়াদ।
এমন এক সময় ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে রিয়াদ এই সিদ্ধান্ত নিলো, যখন খবর বেরিয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে সৌদি আরব। গত এপ্রিলে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, আমি বিশ্বাস করি ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের নিজস্ব ভূমি থাকার অধিকার রয়েছে, কিন্তু সবার মধ্যে স্থিতিশীলতা ও সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য আমাদের একটি শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।