রাজধানীর আদাবর থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ট্রাক চাপায় দুইজন মারা গেছেন। নিহতরা হলেন সুজন (১৮) ও আরিফ (১৬)। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত সুজন ও আরিফ রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। সুজন নবীনগর হাউজিং এর ১০ নম্বর রোড এর বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাদেক খানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করাকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা আরও জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মোহাম্মদপুর এলাকার সুনিবিড় হাউজিংয়ের সামনের সড়ক দিয়ে সাদেক খান ধানমন্ডি কার্যালয়ের দিকে গাড়িবহর নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বর্তমান সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সমর্থকেরা ওই গাড়িবহরে বাধা দেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আদাবর থানার ওসি কাওসার আহমেদ জানান, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ কিংবা মামলা আমরা পাইনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিঞা জানান, দুপুরে মোহাম্মদপুর থেকে একটি মরদেহ আসে। নিহতের নাম সুজন, বয়স ১৮। নিহতের আত্বীয়রা জানালো মোহাম্মদপুরে দলীয় মারামারির সময় ট্রাক চাপায় তিনি মারা যান।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন জানান, আজ সকালে জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং সাদেক খানের দুটি গ্রুপ মনোনয়নপত্র নিতে যাচ্ছিল। এসময় মোহাম্মদপুর নবোদয় হাউজিং এর সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পিকআপের নিচে চাপা পড়ে একজন পথচারী আহত হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে পেরেছি তিনি একজন সাধারণ মানুষ।