আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার (১১ নভেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আমরা নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নির্বাচনে অংশ নিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আমাদের নির্বাচনী সমন্বয় হবে। আমরা আশা করি, নির্বাচনের আগেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে।
তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা বলা হলেও ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে অন্তত একমাস ভোট পেছানোর দাবি জানান তিনি। অপরদিকে প্রায় একই সময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংবাদ সম্মেলনেও একমাস পিছিয়ে নতুন তফসিল ঘোষণার দাবি জানান ড. কামাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহম্মদ ইবরাহিম, জমিতে উলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মোহম্মদ ওয়াক্কাস, মহাসচিব নূর হোসাইন কাসেমী, মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান এ এইস এম কামরুজ্জামান খান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।