২৬ রানেই পড়ে গিয়েছিল ৩ উইকেট। ঢাকা টেস্টে বিপর্যয়কর অবস্থা। কিন্তু সে অবস্থা থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। এই প্রতিবেদন লেখার সময় এই দুই ব্যাটসম্যানের ১৬৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৯১। মুমিনুল পেয়েছেন টেস্টে তাঁর সপ্তম সেঞ্চুরি। ১০২ রানে অপরাজিত তিনি। মুশফিক অপরাজিত ৬৭ রানে। ব্যাট হাতে বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া মুমিনুল শতরানের ইনিংস খেললেন ৮ ইনিংস আর ৪ টেস্ট পর। খেললেন এমন একটা সময় যখন দলের খুব খারাপ অবস্থা।
মুশফিক এখনো পর্যন্ত খেলেছেন ১২৪ বল আর মুমিনুল সেঞ্চুরি করেছেন ১৫৩ বল খেলে। দলকে ভালো অবস্থানে নিতে এই দুই ব্যাটসম্যানের বড় ইনিংস খেলাটা খুবই প্রয়োজন। তাঁরা কি পারবেন?
সিলেট টেস্টের জুজু ঢাকাতেও তাড়া করেছে বাংলাদেশ দলকে। নয়তো যে মাঠ তাদের হাতের তালুর মতোই চেনা, সেখানে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে কেন সিলেটের রূপ দেখা গেল? ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর খুব দ্রুতই নেই আরও দুই উইকেট।
দলীয় ১৩ রানে নিজের রানের খাতা না খুলেই প্রথম বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। জার্ভিসের বলে চাকাভাকে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর ৯ রান করে নেই লিটস দাস। সেই জার্ভিসের বলেই ব্রেন্ডন মাভুতার হাতে তুলে দিয়ে বিদায় নেন তিনি। অভিষিক্ত মোহাম্মদ মিঠুনও রানের খাতা খুলতে পারেননি। ডোনাল্ড তিরিপান্নোর বলে ব্রেন্ডন টেলরকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।
মুমিনুল-মুশফিকের জুটিটাও থাকত না। প্রথমে জীবন পান মুমিনুল। চাতারার বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে চারসি ফেলে দেন তাঁর ক্যাচ। তিরিপান্নোর বলে মুশফিকও বেঁচে যায় স্লিপের সামনে বল পড়ায়।
কাইল জার্ভিস দুর্দান্ত বল করেছেন। ১৩ ওভার বল করে ৩ মেডেনে ৪০ রান দিয়ে তিনি তুলে নিয়েছেন ২ উইকেট। তেন্দাই চাতারা ৯ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৯ রান। দিয়েছেন ৭ মেডেন! ডোনাল্ড তিরিপান্নোও দুর্দান্ত। ২ মেডেনে ২২ রানে ১ উইকেট তাঁর। আসলে উইকেট বুঝে ঠিক জায়গামতো বোলিং করার ফলটা জিম্বাবুয়ে আজ প্রথম সেশনে ভালোভাবেই পেয়েছে। আর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা নিজেদের বলি দিয়েছেন বাজে শট বাছাইয়ের মাধ্যমেই।