জাতীয় ঐক্যফ্রন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর দাবি প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন পেছানো হবে কি হবে না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত আগামীকাল সোমবার (১২ নভেম্বর) নেওয়া হবে।
রোববার (১১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মুখে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি নুরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চেয়েছিলাম। আমরা আপনাদের মাধ্যমে (গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর) জানতে পেরেছি, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে। তাদের কেউ কেউ নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে ইসিতে চিঠিও দিয়েছে।
সিইসি বলেন, সব দল আসুক। আমরা আগামীকাল (সোমবার) বসে নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব।
এর আগে, গত ৮ নভেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি কে এম নুরুল হুদা। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীদের মনোনয়নপত্র গ্রহণের শেষ তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে ১৯ নভেম্বর।
এদিকে, নির্বাচনীতফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ বেশকিছু রাজনৈতিক দল। তবে তফসিলকে ‘সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন’ বলে অভিযোগ জানায় রাজপথের বিরোধী দল বিএনপিসহ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন নবগঠিত রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। যদিও শেষ পর্যন্ত রোববার দুপুরে আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলনে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বিএনপিনেতৃত্বাধীন২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্ট। তবে তারা নির্বাচনের তারিখ একমাস পেছানোর আবেদন জানিয়েছেন। তবে সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম বদরুদ্দোজার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন এক সপ্তাহ পেছানোর আবেদন জানিয়েছে। জোটগুলোর এ সংক্রান্ত চিঠিও পৌঁছেছে নির্বাচন কমিশনে।