রোববার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
দীর্ঘমেয়াদী অর্থের উৎস হতে পারে শক্তিশালী পুঁজিবাজার
প্রকাশিত - নভেম্বর ১২, ২০১৮ ৬:১৯ পিএম
একটি দেশের শক্তিশালী পুঁজিবাজারে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণে দীর্ঘমেয়াদী অর্থের উৎস হতে পারে বলে মনে করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। একই সঙ্গে বলেন,শেয়ার ব্যবসায় কোন বিনিয়োগকারীকে কেউ মুনাফা করিয়ে দেবে না। এছাড়া কারও ক্ষতি হলেও তা কেউ লাঘব করে দেবে না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীকেই তার পুঁজি সংরক্ষনের দায়িত্ব পালন করতে হবে। যার জন্য বিনিয়োগকারীদের জ্ঞানের বিকল্প নেই।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের জন্য বিএসইসি বিনিয়োগ শিক্ষা বিষয়ক একটি কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব কার্যালয়ে এই বিনিয়োগ শিক্ষা কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বিএসইসি ও ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ)। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী, স্বপন কুমার বালা এফসিএমএ, খন্দকার কামালুজ্জামান, বিএসইসির ইডি ফারহাদ আহমেদ, মাহবুবুল আলম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, সেক্সেটারি মনির হোসেন, সাবেক সভাপতি জিয়াউর রহমানসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, প্রিন্টিং পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ।এতে মূল পবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির পরিচালক রেজাউল করিম।
খায়রুল হোসেন বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল জ্ঞানভান্ডার তৈরী করা। যাতে বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজির সংরক্ষন ও মুনাফা করতে পারে। যাতে বিনিয়োগকারীরা নিজেই শেয়ার বেচা-কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তিনি বলেন, কমিশন ডিসক্লোজার ভিত্তিতে একটি কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দেয়। এক্ষেত্রে ইস্যু ম্যানেজার ও নিরীক্ষক সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিষয়ে সব ঠিক আছে বলে জানানোর পরে কমিশনের কিছু করার থাকে না। কারন কমিশন সরেজমিনে ওই কোম্পানির আর্থিক হিসাবের সত্যতা যাছাই করতে পারে না। আর এমনটি করতে গেলে আইপিও অনুমোদনে ৩ বছর সময় লেগে যাবে। বর্তমানে প্রত্যেকটি কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রসপেক্টাস প্রকাশ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন খায়রুল হোসেন।
এক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা ওই প্রসপেক্টাসে প্রদত্ত তথ্য নিয়ে রিপোর্ট করতে পারেন। এক্ষেত্রে কোন কোম্পানির প্রসপেক্টাসের সঙ্গে বাস্তবতার গরমিল পাওয়া গেলে, আইপিওতে আবেদনের আগ মুহূর্তেও তা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
আইপিও অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি কাছে চাদাঁ না পেয়ে একটি গ্রুপ আদালতে রিট করে বলে জানান বিএসইসি চেয়ারম্যান। এদেরকে প্রতিহত করার জন্য সাংবাদিকদের কাছে আহ্বান করেছেন তিনি। খায়রুল হোসেন বলেন, আইপিওতে সঠিক দর পায় না বলে দীর্ঘদিন ধরে উদ্যোক্তাদের অভিযোগ ছিল। যার আলোকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। এক্ষেত্রে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করে দর নির্ধারন করে। কিন্তু এরমধ্যেও কোম্পানি ও যোগ্য বিনিয়োগকারীরা যোগসাজোশ করতে শুরু করে। যা প্রতিরোধে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ শেয়ারে দর প্রস্তাব করার সংশোধনী করা হয়েছে। এরপরেও যদি যোগ্য বিনিয়োগকারীরা কারসাজি করে, তাহলে কমিশনের অসহায়ত্ব প্রকাশ ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ শেয়ারবাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরী করতে চাইতে পারে বলে মনে করেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। যাতে বিএসইসি নিয়মিত সার্ভেলেন্সের মাধ্যমে নজড়দারি করছে। এক্ষেত্রে লেনদেনে কোন ধরনের অনিয়ম হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল বলেছেন,বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শেয়ারবাজারের রেগুলেটর হলেও সাংবাদিকেরা সুপার রেগুলেটর। সেই সাংবাদিকদের তথ্য প্রাপ্তিতে বাধা দিয়ে শেয়ারবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব না। তাই তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের বিএসইসিতে প্রবেশাধিকার বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, কর্মশালার মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে শিক্ষিত করে গড়ে তুললেই হবে না। তাদের তথ্যের প্রাপ্তিতে অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ সাংবাদিকদের আকাঙ্খা তথ্য।
Copyright © 2025 Sunbd24 - Latest News Update About DSE, CSE Stock market.. All rights reserved.