জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্তজার মতো ছেলেরা রাজনীতিতে এলে পার্লামেন্টের চেহারা চেঞ্জ হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিএনপির মনোনয়ন ফরম কিনতে এসে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ঢাকা-১৪ ও ১৬ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দুইটি মনোনয়ন ফরম কেনেন আমিনুল হক।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নৌকার মনোনয়ন ফরম কিনেছেন, এ ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তাকে স্বাগত জানাই। সে অত্যন্ত ভালো ছেলে। আমি মনে করি মাশরাফির মতো ছেলেরা রাজনীতিতে আসলে পার্লামেন্টের চেহারা চেঞ্জ হয়ে যাবে।
এর আগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভোট গ্রহণের তারিখ ১ মাস পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড় দিন’। ৩০ ডিসেম্বর দিন শেষে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’। এই দু’টি উৎসবের মাঝখানে ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলে বিদেশি মিশন এবং বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকদল নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আসতে পারবে না। ফলে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধানতম অনুষঙ্গ থাকবে অনুপস্থিত।’
‘সুতরাং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে এবং নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে ভোট গ্রহণের তারিখ ১ মাস পেছানোন জোর দাবি জানাচ্ছি– বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘ এত নিপিড়ন, নির্যাতনের পরও গতকাল সোমবার এবং আজ লাখ লাখ নেতাকর্মী সমর্থক বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে পছন্দের প্রার্থীর জন্য মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়ক জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে। এ যেন মাটি ফুঁড়ে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী সমর্থক বেরিয়ে আসছে।’
তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর ধরপাকড়, মামলা, গ্রেফতার, হয়রানি বহুগুণ বেড়ে গেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রতি মানুষের গণজোয়ার, গণসমর্থন দেখে সরকার ভিতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাই প্রতিটি পাড়া, প্রতিটি মহল্লায় এখন চলছে ধরপাকড়ের মহা উৎসব। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাব, এই হয়রানি, নির্যাতন থেকে সরে এসে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করুন।’
এদিকে, দ্বিতীয় দিনেও নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন। তারা নিজ নিজ প্রার্থী এবং খালেদা জিয়া তারেক রহমানের পক্ষে স্লোগান দিচ্ছেন। বিএনপির নেতাকর্মীর চাপে নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।
ঢোল বাজিয়ে, ব্যানার-ফেস্টুন উঁচিয়ে, নেচে-গেয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভোট উৎসবে মেতেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের আনন্দ-উল্লাসে নেমে এসেছে উৎসবের আমেজ।
চট্টগ্রাম সাতকানিয়া থেকে আসা মো. রুবেল হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম ১৫ আসনের জন্য আলহাজ মুজিবুর রহমান মুজিবের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনতে আসছি। অন্য সময় কোনো প্রোগ্রামে গেলে যে ভয়টা ভেতরে থাকে, সেটা এখন নেই। আশা করছি, উৎসব উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মনোনয়ন ফরম কিনে এলাকায় ফিরে যাব।’
সোমবার মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দিন ১৩২৬ টি ফরম বিক্রি করে বিএনপি। দ্বিতীয় দিনেও রয়েছে প্রথম দিনের মতো ভিড়। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন আজকেও প্রায় হাজারটার ওপরে মনোনয়ন ফরম বিক্রি হবে।