ব্রেন্ডন টেলর একটা প্রান্ত ধরে লড়াই করেই যাচ্ছেন। তবে অপর প্রান্তে একের পর এক ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশি বোলাররা। ফলে ঢাকা টেস্টে জয়ের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে স্বাগতিক দল।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২১৪ রান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে এসেছেন জারভিস। টেলর তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ১৬৪ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ১০০ রানে অপরাজিত আছেন তিনি।
জিততে হলে করতে হবে ৪৪৩ রান। জিম্বাবুয়ে নিশ্চয়ই এই লক্ষ্য পার করার কথা ভাবছে না। ড্রয়ের আশায় খেলে যাচ্ছে সফরকারিরা। ২ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনে খেলা শুরু করে তারা।
তৃতীয় উইকেটে অবশ্য ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিলেন ব্রেন্ডন টেলর আর শন উইলিয়ামস। মাত্র ২৯ রান যোগ করলেও এই উইকেটে প্রায় ১৩ ওভার কাটিয়ে দিয়েছিলেন দুজন। শেষ পর্যন্ত মোস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে উইলিয়ামস ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
উইলিয়ামস শট খেলতে গিয়ে আউট হননি। মোস্তাফিজের বাঁ হাতের ডেলিভারিটি ডিফেন্স করতেই চেয়েছিলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান। কিন্তু বলটা যে কাটার মাস্টারের! দারুণ সুইংয়ে সেটা ঠিকই খুঁজে নিয়েছে স্ট্যাম্প। উইলিয়ামস করেন ১৩ রান।
এরপর জিম্বাবুয়ের আরও একটি উইকেট তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। আগের ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে বাজপাখির মতো এক ক্যাচ নিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এবার নিজের বলেই দারুণ এক ফিরতি ক্যাচ নেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
সোজা ব্যাটে খেলতে চেয়েছিলেন সিকান্দার রাজা। ক্রিজের মধ্যেই মাটির সঙ্গে প্রায় মিশে যাওয়া বলটা দারুণ দক্ষতায় ধরে ফেলেন তাইজুল। তাতেই রাজার ১২ রানের ইনিংসের সমাপ্তি।
রাজা ফেরার পর পিটার মুরকে নিয়ে ৬৬ রানের আরেকটি জুটি গড়ে ফেলেছিলেন টেলর। বাংলাদেশ তখন বেশ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত এই জুটিটি ভাঙেন মিরাজ। ৭৯ বলে ১৩ রান করা মুরকে শর্ট লেগে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ বানান এই অফস্পিনার।
এরপর ২ রান করে রাগিস চাকাভা হন রানআউটের শিকার। আর ডোনাল্ড তিরিপানোকে রানের খাতাই খুলতে দেননি মিরাজ। লিটন দাসের ক্যাচ হয়ে ফিরেন তিনি।