বিদায়ী সপ্তাহে পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন বেড়েছে উভয় শেয়ারবাজারে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ৭৬৪ কোটি ৭৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৬৯ কোটি ৪ লাখ ১০ হাজার ৭৪ টাকা বা ৬.৫১ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৯৫ কোটি ৭৫ লাখ ৯ হাজার ২৮৭ টাকার।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৫৫২ কোটি ৯৫ লাখ ৮৩ হাজার ৮৭২ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ ১ হাজার ৮৫৭ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩৩ কোটি ৮০ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকা বেশি হয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪.৪৯ পয়েন্ট বা ০.১৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৪৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২.৩৫ পয়েন্ট বা ০.১৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২.৯৮ পয়েন্ট বা ০.১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২০৮ ও ১৮৫৬ পয়েন্টে।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ১৪৩টির দর বেড়েছে, দর কমেছে ১৮৬টির ও শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।
বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ারের। কোম্পানিটির মোট ১৩৭ কোটি ২১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ খুলনা পাওয়ারের ১৩৬ কোটি ৬৮ লাখ ৪২ হাজার টাকার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ এসকে ট্রিমসের ১১১ কোটি ৭২ লাখ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এছাড়া ইফাদ অটোসের ৭৪ কোটি ৫৯ লাখ ৫২ হাজার টাকার, সায়হাম কটনের ৭২ কোটি ৮২ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, ইনটেকের ৬৯ কোটি ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, শেফার্ডের ৬৮ কোটি ৬৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকার, মুন্নু সিরামিকের ৬৪ কোটি ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, বিবিএস কেবলসের ৫৪ কোটি ৬৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকার এবং পেনিনসুলার ৪৮ কোটি ৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সব সূচক কমেছে। সপ্তাহটিতে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৬ পয়েন্ট বা ০.২৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৫ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ৭৯ পয়েন্ট বা ০.৫৫ শতাংশ, সিএসসিএক্স ২৪ পয়েন্ট বা ০.২৪ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৩ পয়েন্ট বা ০.২৪ শতাংশ এবং সিএসআই ২ পয়েন্ট বা ০.১৬ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৩৫৭, ৯ হাজার ৭২৯, ১ হাজার ১৭৬ ও ১ হাজার ৬৬ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ১১৯ কোটি ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪৭ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১১১ কোটি ১০ লাখ ৩১ হাজার ১৭৩ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৯ কোটি ২২ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৪ টাকা বা ৭ শতাশ বেড়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৮৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৮টির, দর কমেছে ১৫৪টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।