পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ (বুধবার)। এদিন আখেরি নবী হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় দিবসটি উদযাপিত হচ্ছে।
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বিভিন্ন সংগঠন এই দিনটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- মহানবী (সা.)-এর পূর্ণাঙ্গ জীবন নিয়ে আলোচনা, সমাবেশ, মিলাদ মাহফিল, মোনাজাত এবং ধর্মীয় শোভাযাত্রা।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক এ উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিও এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে।
মহানবী হজরত মুহম্মদ (স.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মক্কার কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। আরবের মরু প্রান্তরে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রচার শুরু করেন তিনি। তার আবির্ভাব এবং ইসলাম ধর্মের প্রচার সারাবিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ১২ রবিউল আউয়ালই মহানবী (স.) মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) হিসেবে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা পালন করে থাকে।
ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) দিনে মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।