বীমা খাতের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। এবার বীমা খাতের উন্নয়নে নতুন করে আরও ১৩টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বীমা খাতের এই সংস্থাটি । লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সমন্বয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, আইডিআরএ চেয়ারম্যান মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী। ওই সভার সিদ্ধান্তগুলো গত ১ নভেম্বর বীমা কোম্পানিগুলোর কাছে পাঠানো হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো- একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক বীমাখাতের ইমেজ বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি করে অনিষ্পন্ন সকল বীমা দাবি দ্রুত নিষ্পত্তি করে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিশোধ করে বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে সকল বীমাকারীকে পত্র দিতে হবে।
বীমা সংক্রান্ত আইন বিধি প্রবিধি লঙ্ঘনকারী বীমাকারীকে কারণ দর্শানোর জন্য পত্র প্রেরণ করতে হবে।
শুদ্ধাচার, ইনোভেশন ইত্যাদি বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত পরিপালনক্রমে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে।
প্রতিটি কোম্পানিকে অবিলম্বে সিটিজেন চার্টার প্রণয়নপূর্বক তা জনসাধারণের নিকট উন্মুক্ত করে দিতে হবে এবং পরবর্তীতে সে মোতাবেক বীমা গ্রাহকদের সেবা প্রদান করতে হবে।
বীমা গ্রাহকদের আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বীমা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অঞ্চলভিত্তিক নিয়মিত গ্রাহক সমাবেশের মাধ্যমে বীমা সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণাকে পরিবর্তনের প্রচেষ্ঠা চালাতে হবে।
বীমাখাতে ইমেজ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে বীমা প্রতিষ্ঠানের দাবি পরিশোধসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত জাতীয় সংসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য বা অন্য কোন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
লাইসেন্স নবায়নকারী এবং লাইসেন্স নবায়ন করেনি এমন বীমাকারীর তালিকা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করা হবে।
বীমাকারীসমূহের গাড়ির তালিকা ব্যবহারকারীর নাম ও পদবীসহ কর্ম এলাকার তালিকা সংগ্রহ করতে হবে।
যে সকল বীমাকারী ১০০% দাবি নিষ্পত্তি দেখিয়েছে তাদের তথ্য পরীক্ষা করতে হবে।
লাইফ বীমাকারীর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বৎসর নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহ হার বৃদ্ধিকল্পে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বীমা এজেন্টদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণসহ আরো সতর্ক করতে হবে। প্রয়োজনে অধিক দ্বিতীয় বর্ষ নবায়ন সংগ্রহকারী এজেন্টদেরকে বীমাকারী কর্তৃক পুরস্কৃত করে কাজের স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
নন-লাইফ বীমাকারীর অস্বাভাবিক হারে কমিশন প্রদানের প্রবণতা বন্ধের জন্য কার্যকরী নির্দেশমালা জারি করতে হবে।
বীমা কোম্পানির কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ/ ডিপ্লোমা কোর্সে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
বীমাকারী প্রতি মাসের শেষান্তে বীমা দাবির পরিমাণ/ সংখ্যা এবং পরিশোধের হালনাগাদ তথ্য কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করতে হবে। বীমাকারীরা নিয়মিতভাবে অনিষ্পন্ন বীমা দাবির তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।