শেয়ারহোল্ডারদের অবদান সবচেয়ে বেশি `ইবনে সিনা’র অগ্রযাত্রায়
পুঁজিবাজার ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-১১-২২ ১৪:৫৭:৪৩
ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার প্রতি আয়, নগদ অর্থপ্রবাহ ও লাভ অর্জনের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা বজায় রয়েছে উল্লেখ করে কোম্পানির চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বলেন, আমাদের এ অগ্রযাত্রার পিছনে শেয়ারহোল্ডারদের অবদান সবচেয়ে বেশি। এ গৌরবের সম্পূর্ণ ভাগীদার শেয়ারহোল্ডাররা।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর,২০১৮) কোম্পানি ৩৪তম বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মান্নান বলেন, সমাপ্ত অর্থবছরে ইবনে সিনা ৪৬৫৭.৩৫ মিলিয়ন টাকা বিক্রয় অর্জন করেছে যা বিগত সময়ের তুলনায় ১৬.১৭ শতাংশ বেশি। এছাড়া ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে এ বছর কোম্পানিটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। আলোচ্য বছরে আমাদের রপ্তানি প্রায় ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল একটি যুতসই পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে। ইতিমধ্যে সম্প্রসারন, আধুনিকায়ন ও নতুন প্রকল্প স্থাপনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ স্বার্থে বড় অংকের নগদ অর্থের প্রয়োজনে কোম্পানির ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার বিক্রয় করা হয়েছে। যা থেকে আশানুরূপ লাভ অর্জিত হয়েছে। এছাড়া এ অর্থ দিয়ে ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। যার ফলে ফিনান্সিয়াল চার্জ কমে আসবে।
কোম্পানির চেয়ারম্যান বলেন, কোম্পানির নিজস্ব কর্পোরেট অফিস ভবন নির্মাণের জন্য টেকনিক্যাল স্কয়ার, দারুস সালাম রোডে জমি ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমানে আর্কিটেকচারাল ডিজাইন তৈরির কাজ চলছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তিনি।
শেয়ারহোল্ডাররা বলেন, এ কোম্পানির সকল মাকেটিং ইনচার্জদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। একই সাথে কোম্পানির লোকবল আরো বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেন শেয়ারহোল্ডাররা।
কোম্পানির সকল কর্মকর্তাদের জন্য ট্রেনিং নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়ে শেয়ারহোল্ডাররা বলেন, কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন বাড়ানো হলে কোম্পানির উন্নতিতে এটা যথাযথ ভূমিকা রাখবে। কারন কর্মকর্তাদের যথার্থ সুযোগ সুবিধা দিলে এই কোম্পানির সুযোগ্য কর্মকর্তারা অন্য কোম্পানির দিকে ঝুঁকবে না। এতে কোম্পানিরই লাভ অটুট থাকবে। শেয়ারহোল্ডাররা ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালের বার্ষিক প্রতিবেদন স্বচ্ছ হয়েছে জানিয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়া কোম্পানির এরকম লভ্যাংশ দেওয়ার ধারাবাহিকতা আগামীতেও ধরে রাখতে অনুরোধ জানান।
কোম্পানি যে পরিকল্পনাগুলো হাতে নিয়েছে আগামী ২/১ বছরের মধ্যেই সবার সামনে তা দৃশ্যমান হয়ে উঠবে বলে জানান কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম সদরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আমাদের কোম্পানি ইউনাইটেড স্টেটস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (ইউএসএফডিএ) লিস্টেড কোম্পানি হিসেবে জায়গা দখল করে নিয়েছে। এছাড়া ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশে (আইসিএসবি) এ বছর ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যাল সেকেন্ড কমপ্লাইন্ট কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
আজকের এজিএমে উপস্থিত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে কোম্পানির ঘোষিত ৩০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ অনুমোদিত হয়েছে।
কোম্পানির সেক্রেটারি শহিদ ফারুকির সভাপতিত্বে আজকের এজিএম পরিচালিত হয়। এজিএমে কোম্পানির বিভিন্ন পরিচালকবৃন্দ এবং প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।