বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) কাছে ৯৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬২২ টাকা পাওনা রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল)। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে অনাদায়ী থাকায় এ অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিএসসিসিএলের নিরীক্ষক এম জে আবেদীন অ্যান্ড কোম্পানি। তবে কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন পাওনা টাকা আদায়ে কমিটি কাজ করছে।
৩০ জুন, ২০১৮ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে সাবমেরিন কেবলের নিরীক্ষক তার মতামতে উল্লেখ করেছেন, বিটিসিএলের কাছে বিএসসিসিএলের পাওনার পরিমাণ ৯৯ কোটি ৫৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬২২ টাকা। এ অর্থ আদায়ের বিষয়ে সংশয় থাকলেও কোম্পানিটি এর বিপরীতে মাত্র ৯ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার ১৮৮ টাকা সঞ্চিতি রেখেছে।
এ প্রসঙ্গে বিএসসিসিএলের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা বলেন, বিটিসিএলের কাছে আমাদের পাওনার টাকা আদায়ের জন্য পরিচালনা পর্ষদ একটি কমিটি করেছে। তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। তাছাড়া বোর্ডেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
এছাড়া আরো ৫ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার টাকা আদায়ে কয়েক জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএসসিসিএল। এছাড়া আরো ২০ কোটি ৬৭ লাখ ১২ হাজার টাকা আদায়ে এসব গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। এইরকম যেসব গ্রাহক বিএসসিসিএলের সঙ্গে ব্যভসা বন্ধ করেছে কিন্তু পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি তাদেরকেও আইনের আওতায় আনার কার্যক্রম চলছে।
অথচ টাকার অভাবে বিএসসিসিএল ২০১৭-২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ভাল ডিভিডেন্ড দিতে পারেনি।
সর্বশেষ হিসাব বছরে বিএসসিসিএলের পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য মাত্র ৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এ সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ০.৪৪ টাকা, আগের বছর যা ছিল ১.৯৩ টাকা।
এই প্রসঙ্গে বার্ষিক সাধারণ সভায় কোম্পানির চেয়ারম্যান শেম সুন্দর শিকদার বলেন, বাংলাদেশে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সংযুক্ত করতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা লেগেছে। এই অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণে পরিমান মত ডিভিডেন্ড দিতে পারি নাই। তাই আপনাদের কাছে লজ্জিত। তবে আগামীতে অবশ্যই ভাল ডিভিডেন্ড উপহার দেওয়ার চেষ্টা করব।