ঢাকা অফিসার্স ক্লাব ও চট্টগ্রামে গোপন বৈঠক করার যে অভিযোগ বিএনপি করেছে; তা পুরোপুরি কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনারদের উপস্থিতিতে কমিশন সভার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি একথা জানান।
ইসি সচিব বলেন, তার উপস্থিতিতে ঢাকা অফিসার্স ক্লাব ও চট্টগ্রামে গোপন বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রোপাগান্ডা। পুরোপুরি কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন।
তিনি আরও জানান, গত কয়েকদিন বিএনপি ইসিতে যেসব চিঠি দিয়েছে সেগুলো নিয়ে রোববার কমিশনারগণন বসবেন। ওই বৈঠকে ইসির সচিব নিয়ে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে তাও উত্থাপন করা হবে।
শনিবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ২০ নভেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের চতুর্থ তলার পেছনের কনফারেন্স রুমে এক গোপন মিটিং হয়। এতে সরকারের প্রশাসন ও পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির দাবি অনুযায়ী ওই বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীনও ছিলেন।
বিএনপির এই অভিযোগের ব্যাপারে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, এটা মিথ্যা, বানোয়াট অভিযোগ। তিনি এসব কর্মকাণ্ডের জন্য বিএনপিকে ভবিষ্যতে সতর্ক হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এ ধরনের মিথ্যা প্রপাগান্ডা যেন আর না করা হয়।
এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেবেন কিনা জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, আগামীকাল বিষয়টি কমিশন বৈঠকে তুলব, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। এ বিষয়ে কমিশনে আলাপ করে আপনাদের জানাব।
চট্টগ্রামের বৈঠকেও তিনি যাননি জানিয়ে বলেন, আমাকে বিতর্কিত করার জন্য, হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এক ধরনের চাপ দেয়ার জন্য উদ্দেশ্য নিয়েই এই কাজটি করেছ।
এসময় এবার জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ছয়টি আসনের সবকটি কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলেও জানান ইসি সচিব।