খুলনাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত নবনির্মিত আধুনিক রেল স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
রোববার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এ স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় চিত্রা এক্সপ্রেস। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করলো স্টেশনটি।
নতুন স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন যাত্রার সময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক মো. মজিবর রহমান।
নতুন রেল স্টেশনটি চালু হওয়ায় এখন থেকে একইসঙ্গে ছয়টি ট্রেন এখানে প্রবেশ ও অবস্থান করতে পারবে। ফলে প্রতিদিন ৯ থেকে ১০ হাজার রেলযাত্রী নিরাপদে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা সফরের সময় চলতি বছরের ৩ মার্চ স্টেশনটি উদ্বোধন করেছিলেন।
জানা যায়, স্টেশনের দৃষ্টিনন্দন তিন তলা মূল ভবন ও প্লাটফর্ম নির্মিত হয়েছে আগেই। সেই সঙ্গে নতুনভাবে স্থাপন করা হয়েছে রেললাইনের স্লিপার, লোকোসেড, রেস্টুরেন্ট, টিকিট কাউন্টার, ওয়েটিং রুম, ভবন সজ্জিতকরণ, রঙ-টাইলসের ফিনিসিং, স্বয়ংক্রিয় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।
খুলনা আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণে ২০১৫ সালের ৪ মার্চ ঠিকাদার নিয়োগ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। ওই মাসেই কার্যাদেশ দেয়া হয়। এপ্রিল মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় খুলনার আধুনিক রেলস্টেশনের কাজ।
ব্রিটিশ আমলে নির্মিত খুলনার পুরাতন রেলস্টেশন দিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগের শিকার হন খুলনার মানুষ। এজন্য খুলনায় একটি আধুনিক রেলস্টেশন নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিনের। ২০০৭ সালে তখনকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার 'রি মডেলিং অব খুলনা রেলস্টেশন অ্যান্ড ইয়ার্ড' নামে এ প্রকল্প গ্রহণ করে। একাধিকবার সংশোধনের পর ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। প্রায় ৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজে ধীরগতির কারণে দুই দফা সময় বেড়ে যাওয়া প্রকল্প ব্যয়ও বেড়ে যায় চার কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ফলে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।