সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ আইনসমূহ ভঙ্গ করায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র ও মনোনীত পরিচালক ব্যতীত) ৪ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) বিএসইসির ৬৬৭তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালসের ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত আর্থিক বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক হিসাব বিবরণীতে বিধিবদ্ধ নিরীক্ষক চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট যোহা জামান কবীর রশীদ অ্যান্ড কোম্পানি কোয়ালিফাইড ওপিনিয়ন প্রদান করেন। কিন্তু কোম্পানি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে আনকোয়ালিফাইড অডিট ওপিনিয়ন সংযুক্ত করে বার্ষিক প্রতিবেদন কমিশন, স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিনিয়োগকারীদের প্রদান করে।
নিরীক্ষকের কোয়ালিফাইড ওপিনিয়নে ছিল স্বল্প মেয়াদী ঋণের সুদ ও কুঋণের জন্য সিঞ্চিতির (প্রভিশন) ব্যবস্থা না করা, দীর্ধ মেয়াদী ঋণের চলতি অংশ ও দীর্ঘ মেয়াদী অংশ আলাদা না করা, অগ্রিম কর ও কর দায় সমন্বয় না করা এবং কোম্পানির খরচসমূহ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে নির্বাহ না করে নগদে নির্বাহ করা।
ডিএসই উক্ত হিসাব বিবরণী পরীক্ষাপূর্বক কোম্পানির বর্ণিত কার্যাবলীর জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর সেকশন ১২ (২), বিএএস-১ এর অনুচ্ছেদ ৪০এ, ৪০বি, ৬০ ও ৬৪, বিএএস২১ এর অনুচ্ছেদ ২৮ এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ আইনসমূহ ভঙ্গ হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে।
এই আইনসমূহ লংঘনের জন্য কমিশন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রত্যেক পরিচালককে (স্বতন্ত্র ও মনোনীত ব্যতীত) ৪ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে।
এছাড়াও উপরোউক্ত লংঘনসমূহ সংশোধন না করা পর্যন্ত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালকগণ কোম্পানি হতে কোনো প্রকাক লভ্যাংশ, পারিতোষিক এবং অন্যান্য সুবিধাদি গ্রহণ করতে পারবেন না মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীহ হয়েছে।