‘সেরা রাঁধুনী ১৪২২’-এ এবার উদ্যোক্তা খুঁজছে স্কয়ার
প্রকাশ: ২০১৫-০৯-২২ ১৯:১৮:০০
উদ্যোক্তা খোঁজার অভিলাষে এবার নতুন আঙ্গিকে শুরু হচ্ছে ‘সেরা রাঁধুনী ১৪২২’ প্রতিযোগিতা। কেবল খাবার রান্না করার গুণাগুণই নয়, একই সঙ্গে সুস্বাদু রান্নার পরিবেশন, রেসিপির বিপণন, বুদ্ধিদীপ্ত উপস্থাপনে পারদর্শী হবেন নতুন রাঁধুনীরা।
সেই সঙ্গে সেরা তিন প্রতিযোগী চার দেওয়ালের সীমানা পেরিয়ে তাদের রন্ধনশিল্পকে কাজে লাগিয়ে হয়ে উঠবেন একজন সফল উদ্যোক্তা।
আর এজন্য প্রয়োজনীয় সবই করবে স্কয়ার গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ’।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেন স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।
তিনি বলেন, এবারের আয়োজনটা সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা সুস্বাদু রান্নার পাশাপাশি মেধাদীপ্ত উদ্যোক্তাই খুঁজছি। এতে ১৮ বছরের বেশি যে কোনো নারী ও পুরুষ অংশ নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, আমরা জানি, সব সেক্টরের নতুন নতুন এই উদ্যোক্তাদের হাতেই বদলাবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে তিনি উদ্যোক্তাদের কাতারের প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করেন।
অঞ্জন চৌধুরী বলেন, ১৯৫৮ সালে ছোট একটি শহরে চারজন উদ্যোক্তার সম্মিলিত স্বপ্নে তৈরি হয়েছিল আজকের স্কয়ার গ্রুপ। স্কয়ার ফার্মা নামের সেই প্রতিষ্ঠান একটি ড্রামে কাশির ওষুধ তৈরি শুরু করেছিল। আজকের ‘তুসকা’ তারই নতুন সংস্করণ।
প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিধি উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ৪৬ হাজার লোক কাজ করেন। আগামী তিন বছরের মধ্যে স্কয়ার সততার সঙ্গে ব্যবসা করা একমাত্র শতভাগ দেশিয় ব্র্যান্ড কোম্পানি হিসেবে বিলিয়ন ডলারের কোম্পানির মাইলফলক স্পর্শ করবে।
তিনি জানান, এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রতিযোগীদের নানাভাবে দক্ষ করে তোলা হবে। তাদের পেশাদারী করে গড়তে যা প্রয়োজন, তার সবই করবে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ।
বাংলাদেশে প্যাকেটজাত মশলার বিপণন সম্পর্কে স্কয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা যখন এই ব্যববসা শুরু করি, তখন বাজারে আর তেমন কেউ ছিল না। এখন বাজারে অনেক ব্র্যান্ড। তবে শতভাগ সততার কারণে নাম্বার ওয়ান ব্র্যান্ড হিসেবে সবার মন জয় করেছে ‘রাঁধুনী’। বর্তমানে শহরে প্যাকেটজাত মশলা ছাড়া কিছু ভাবাই যায় না।
স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের মার্কেটিং প্রধান ইমতিয়াজ ফিরোজ বলেন, ‘সেরা রাঁধুনী’ বাছাইয়ের জন্য সারাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে ১৫টি প্যানেল গঠন করা হবে। দেশের সেরা কুকিং অ্যান্ড মার্কেটিং এক্সপার্টদের একটি প্যানেল প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ধাপে প্রতিযোগীদের যাচাই করবেন। রান্না, পরিবেশন, নিজেকে উপস্থাপন, অন্যান্য গুণাগুণ, ব্যক্তিত্ব, বিক্রয় দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ, খাবারের ব্যবসা চালানোর ক্ষমতা, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সমালোচনার তাৎক্ষণিক বুদ্ধি ও দক্ষতা প্রয়োগের ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে বিচারকরা ‘সেরা রাঁধুনী ১৪২২’ নির্বাচন করবেন।
তিনি জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ৩০ জন রন্ধনশিল্পী নিয়ে গ্রুমিং রাউন্ড শুরু হবে। সেখান থেকে ২১ জন বেছে নিয়ে হবে স্টুডিও রাউন্ড। প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার হিসেবে থাকছে ১৫ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ১০ লাখ এবং তৃতীয় পুরস্কার থাকছে ৫ লাখ টাকা।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের রেজিস্ট্রেশন চলবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।