সূচক কমলেও বেড়েছে লেনদেন

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-১২-০১ ১০:২৭:২৬


বিদায়ী সপ্তাহে পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। সপ্তাহজুড়ে উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহে থেকে উভয় শেয়ারবাজারে বেড়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩ হাজার ১৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৬৬২ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৫২৪ কোটি ৪৮ লাখ ৬৮ হাজার ৭০৪ টাকা বা ১৯.৯৫ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৬২৯ কোটি ৪০ লাখ ৩২ হাজার ৯৫৮ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩২ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৬৫৭ কোটি ৩৫ লাখ ৮ হাজার ২৩৯ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২৬ কোটি ৫৭ লাখ ৩৩ হাজার ৯০৬ টাকা কম হয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪.৭০ পয়েন্ট বা ০.৪৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৮১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪.০৮ পয়েন্ট বা ০.৩৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৭.৪১ পয়েন্ট বা ০.৪০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২২৩ ও ১৮৬১ পয়েন্টে।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ১১৭টির দর বেড়েছে, দর কমেছে ২০৬টির ও শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির।

বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে খুলনা পাওয়ারের। কোম্পানিটির মোট ১২৯ কোটি ৩০ লাখ ৪৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সায়হাম টেক্সটাইলের ৯৯ কোটি ৩৫ লাখ ১৪ হাজার টাকার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ইউনাইটেড পাওয়ারের ৯৪ কোটি ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসকে ট্রিমসের ৮৪ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার টাকার, ইনটেকের ৮০ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার, সায়হাম কটনের ৭৮ কোটি ৭৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার, শেফার্ডের ৭৭ কোটি ৪৪ লাখ ৩ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৬৪ কোটি ৪১ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, স্কয়ার ফার্মার ৬২ কোটি ৩৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার এবং প্যারামাউন্ট টেক্সটাইরে ৬১ কোটি ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ১৫৬ কোটি ৮০ লাখ ৩৭ হাজার ৫১০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০৯ কোটি ৬ লাখ ১১ হাজার ৮১১ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৪৭ কোটি ৭৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৯৯ টাকা বা ৪৩.৭৭ শতাশ বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১০২ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৮২ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৩০ সূচক ১৪৪ পয়েন্ট বা ০.৯৭ শতাংশ, সিএসসিএক্স ৬৫ পয়েন্ট বা ০.৬৫ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১১ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ এবং সিএসআই ১৪ পয়েন্ট বা ১.২৭ শতাংশ কমে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৪ হাজার ৬৫২ পয়েন্টে, ৯ হাজার ৮১০ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৮১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৭২ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০১টির, দর কমেছে ১৬৮টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।