মানসিক দুশ্চিন্তা যখন স্মৃতিশক্তিকে আক্রমণ করে তখন তা দীর্ঘায়িত হয়। আর স্মৃতিশক্তির তথ্য ধারণের ক্ষমতা আস্তে আস্তে নষ্ট করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন এক গবেষণায় এসব বিষয় উঠে এসেছে।
বিষন্নতা কীভাবে স্মৃতিশক্তির ওপর সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে এবং একজন ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনকে বাধাগ্রস্ত করে গবেষণায় তা তুলে আনা হয়েছে।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বার্ট রিম্পা বলেন, বিষন্ন মানুষ কিংবা একজন সুস্থ মানুষও যদি বিষন্নতায় ভোগেন, তাহলে তিনিও মানসিক দুশ্চিন্তার শিকার হতে পারেন। বিষন্নতার কারণে আমাদের নেতিবাচক চিন্তাগুলো দীর্ঘতর হয়। এসব নেতিবাচক চিন্তা একজন বিষন্ন মানুষের স্মৃতির পরিধিতে ব্যাঘাত ঘটায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শ্রেণীর ৭৫ জন শিক্ষার্থীর ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। তাদের মধ্যে ৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিষন্নতার লক্ষণ ছিল, আর বাকি ৪৫ জনের মধ্যে বিষাদের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
মানসিক দুশ্চিন্তা নিরূপণের জন্য কিছু প্রশ্ন করা হয়। যেমন, ‘আমার মন খারাপ’, ‘মানুষ আমাকে পছন্দ করে না’ বা নিরপেক্ষ কোনো তথ্য। তাদের একটি স্ট্রিং নম্বর মনে করার কথা বলা হয়েছিল। যারা বিষন্নতায় ভুগছে তারা স্ট্রিং নম্বর উত্তর দিতে ভুলে গিয়েছিল। অন্য প্রশ্নগুলোর নেতিবাচক উত্তর দিয়েছিল।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও গবেষণার প্রধান লেখক নিক হিউবার্ড বলেন, “আমরা সবাই নির্দিষ্ট পরিমাণ তথ্য আমাদের স্মৃতিতে ধরে রাখতে পারি। কিন্তু মানসিক দুশ্চিন্তা একজন মানুষের স্মৃতিশক্তিতে প্রভাব ফেলে। এ কারণে একজন মানসিক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছুই মনে রাখতে পারে না।”
সানবিডি/ঢাকা/রাআ