তেল রপ্তানিকারকদের সংগঠন ওপেক থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে কাতার। তেল সমৃদ্ধ ছোট্ট এই দেশটি সোমবার এমন ঘোষণা দিয়েছে। প্রায় ৬০ বছর ধরে ওপেকের সদস্য তারা।
রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি কাতার পেট্রোলিয়াম সোমবার ধারাবাহিকভাবে এ বিষয়ে টুইট করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ১লা জানুয়ারিতে তারা ওপেক ত্যাগ করছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সিএনএন।
জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সাদ শেরিদা আল কাবি টুইটে লিখেছেন, নিজের প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন বৃদ্ধি ও তা উন্নয়ন পরিকল্পনা যাতে নিজে নিতে পারে সে জন্যই ওপেক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কাতার।
বিশ্বে মোট যে পরিমাণ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি হয় তার মধ্যে কাতার একাই সরবরাহ করে মোট চাহিদার শতকরা প্রায় ৩০ ভাগ।
এখানে উল্লেখ্য, ওপেকের মূল নেতৃত্ব রয়েছে সৌদি আরবের হাতে। কিন্তু তারা সহ প্রতিবেশী আরো কয়েকটি দেশ প্রায় দেড় বছর ধরে কাতারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় কাতার তার গ্যাস উত্তোলন বৃদ্ধি করেছে।
ওপেক থেকে কাতার বেরিয়ে গেলে তারা হবে মধ্যপ্রাচ্যের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী প্রথম দেশ। এখানে উল্লেখ্য, ওপেক শুধু অশোধিত তেলের উত্তোলন দেখাশোনা করে। তবে সৌদি আরব ও ইরাক এক্ষেত্রে তেল উৎপাদনকারী সবচেয়ে বড় দেশ।
তাই অনেকেই মনে করছেন, তাদের তুলনায় এই খাতে কাতারের অবদান ছিল সামান্য। ওপেকভুক্ত সদস্যরা প্রতিদিন ২ কোটি ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উত্তোলন করে। সেখানে কাতার প্রতিদিন উত্তোলন করে প্রায় ৬ লাখ ব্যারেল।
দুবাইভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কমর এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবিন মিলস বলেন, কাতার তেল উৎপাদনে ক্ষুদ্র একটি দেশ। তাই তাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বড় করে দেখার কিছু নেই। তবে বিষয়টি ওপেকের জন্য হতাশার।
ওপেকের শাখা বিস্তৃত আফ্রিকা পর্যন্ত। এতে রয়েছে কঙ্গো। বিষুবীয় গিনি। এরা সম্প্রতি যোগ দিয়েছে ওপেকে। এরা ওপেকে যোগ দিয়ে যে তেল উত্তোলন করবে তা কাতারের সমান। ফলে নতুন সদস্যদের যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে লাভ-ক্ষতি সমান সমান হয়ে যাবে।
বিশ্বে যে পরিমাণ অশোধিত তেল সরবরাহ হয় তার মধ্যে শতকরা প্রায় ৪৪ ভাগ সম্মিলিতভাবে সরবরাহ দেয় ওপেকভুক্ত সদস্যরা।