ফেনীর দাগনভুঞাঁর দুধমুখা এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস ও সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন সহ চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে দুজন।
আজ সোমবার বেলা দেড়টার দিকে দাগনভূঁঞার উরাল মিয়ার টেক এলাকায় ফেনী-বসুরহাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের গাঙচিল এলাকার খাদিজা বেগম (৪৫), তাঁর ছেলে মো. শাকিল (১২) ও শাকিলের চাচাতো ভাই আবদুর রহিম (৩) ও অটোরিকশার চালক মো. ইসমাইল হোসেন। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগে।
এ নিয়ে ৬৪৮ দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে অন্তত ৫ হাজার ৭০২ জন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বাসটি ফেনী থেকে বসুরহাট আসছিল। আর অটোরিকশাটি আসছিল বিপরীত দিক থেকে। দুপুরের দিকে বাসটি দাগনভূঁঞা উপজেলার উরাল মিয়ার টেকে পৌঁছালে বাস ও অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে অটোরিকশাটি সম্পূর্ণ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে আহত হয় চালকসহ ছয়জন। তাদের মধ্যে এক শিশুসহ দুজন ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এক শিশুকে এই হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল নেওয়ার পথে আরেকজনকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যায়। আহত দুজনের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেলে ও আরেকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল কাদের জানান, ফেনী সদর হাসপাতালে এ ঘটনায় পাঁচজনকে আনা হয়। এর মধ্যে দুজন পথে মারা গেছে।
অপর তিনজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় আনা হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও এক শিশু মারা গেছে।
দাগনভুঞাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাফর সালেহ জানান, বাসটিকে জব্দ করা হলেও চালক পলাতক রয়েছে।