পোল্যান্ডে আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন ২০১৮। এর ঠিক এক দিন আগে গতকাল জরুরি বৈঠকে বসেন জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক সাবেক চার প্রধান।
তাঁরা বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্ব এখন এক সংকটময় বাঁকে অবস্থান করছে। তাই এই পরিবর্তনে লাগাম টেনে ধরতে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।
২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পর ক্যাটোওয়াইসের এ বৈঠককে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বকে প্রত্যাশিত জায়গায় রাখতে হলে কার্বন নিঃসরণ ব্যাপক হারে কমাতে হবে।
এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় ব্যাপক চাপের মুখে এই চার সাবেক প্রধান কনফারেন্স অব দ্য পার্টিজ (সিওপি) ২৪ শুরু হওয়ার এক দিন আগেই সমবেত হন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়া দেশগুলোকে সহায়তায় এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক ২০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিল ঘোষণা করেছে।
গত অক্টোবরে ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি ঠেকাতে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর এটি সিওপির প্রথম সম্মেলন।
আইপিসিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে।
কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে চার বছর ধরে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নিঃসরণ সীমিত থাকলেও তা আবার বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক চার সাবেক প্রধান এক বিবৃতিতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
তাঁরা বলেন, চূড়ান্ত পদক্ষেপগুলো আগামী দুই বছরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে যেকোনো ধরনের বিলম্ব করা হলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে কঠিন ও ব্যাপক ব্যয়বহুল করে তুলবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ফিজির ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা, মরক্কোর সালাহেদিন মেজুয়ার, ফ্রান্সের লোহো ফেবিউস ও পেরুর ম্যানুয়েল পুলগার।