আজ ৬ ডিসেম্বর। ১৯৯০ সালের এই দিনে টানা গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন তত্কালীন স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদ। এর মধ্য দিয়ে এরশাদের দীর্ঘ নয় বছরের শাসনের অবসান হয়। এরপর দীর্ঘ পথচলায় ফের গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করে দেশ।
এ দিনটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পালন করছে ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে। বিএনপি পালন করছে ‘স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবে। আর এরশাদের দল জাতীয় পার্টি (জাপা) দিবসটি পালন করে ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ হিসেবে।
জাপার নবনিযুক্ত মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা গতকাল এক বিবৃতিতে আজ ‘সংবিধান সংরক্ষণ দিবস’ পালনের জন্য দলের জেলা ও উপজেলাসহ সর্বস্তরের কমিটিকে অনুরোধ করেছেন।
দিবসটি উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নব্বই পরবর্তী দুই দশকে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতা দখলের পথ রুদ্ধ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদের সত্য ও ন্যায় এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে বলেছে, শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।