ভারতে ১ অক্টোবর থেকে চিনি উৎপাদনের নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমের প্রথম দুই মাসে (অক্টোবর-নভেম্বর) দেশটিতে চিনি উৎপাদন আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৬০ হাজার টন বেড়ে সাড়ে ৩৯ লাখ টন ছাড়িয়েছে। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএমএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
আইএসএমএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ মৌসুম শুরুর পর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের চিনিকলগুলোয় সব মিলিয়ে ৩৯ লাখ ৭০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৬০ হাজার টন বেশি। ২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রথম দুই মাসে দেশটিতে মোট ৩৯ লাখ ১০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী এবারের মৌসুমে পুরো ভারতে ৪১৫টি চিনিকল মৌসুমজুড়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে। আগের মৌসুমে এ সংখ্যা ছিল ৪৫০। ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সবচেয়ে বেশি চিনি উৎপাদন হয়। চলতি মৌসুমে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ রাজ্যে ১৬৭টি চিনিকল উৎপাদন কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আইএসএমএ। উৎপাদন করেছে ১৮ লাখ টন চিনি, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি।
চলতি মৌসুমের প্রথম দুই মাসে উত্তর প্রদেশের চিনিকলগুলোয় সব মিলিয়ে ৯ লাখ ৫০ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। এ সময় উত্তর প্রদেশে মোট ১০৮টি চিনিকল পুরোদমে কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। চলতি মৌসুমে এ রাজ্যে কয়েক দিন দেরিতে চিনি উৎপাদন শুরু হয়েছে।
একইভাবে গত অক্টোবর-নভেম্বর সময়ে কর্ণাটকের ৬৩টি চিনিকলে সব মিলিয়ে ৭ লাখ ৯৩ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। গত মৌসুমের একই সময়ে এ রাজ্যে মোট ৬২টি চিনিকল পুরোদমে কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল। উৎপাদন হয়েছিল ৭ লাখ ২ হাজার টন চিনি।