সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে লেনদেন

পুঁজিবাজার ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৮-১২-০৮ ১১:০৬:২৪


বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে উভয় পুঁজিবাজারের প্রধান প্রধান সূচক কমেছে। বেড়েছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহে থেকে উভয় পুঁজিবাজারে কমেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩ হাজার ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৭৮১ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৫০ কোটি ৩৫ লাখ ৬৪ হাজার ৮৮০ টাকা বা ৪.৭৭ শতাংশ কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ১৫৩ কোটি ৮৮ লাখ ৭১ হাজার ৬৬২ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৬০০ কোটি ৭০ লাখ ৬১ হাজার ৩৫৬ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৬৩০ কোটি ৭৭ লাখ ৭৪ হাজার ৩৩২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৩০ কোটি ৭ লাখ ১২ হাজার ৯৭৬ টাকা কম হয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১.৫৫ পয়েন্ট বা ০.৯৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৩২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ০.৭৩ পয়েন্ট বা ০.০৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ০.৯২ পয়েন্ট বা ০.০৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২২৪ ও ১৮৬২ পয়েন্টে।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে মোট ৩৪৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে ২২৪টির দর বেড়েছে, দর কমেছে ১০০টির ও শেয়ার ও ইউনিটের দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।

বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে সায়হাম কটনের। কোম্পানিটির মোট ৭৯ কোটি ১১ লাখ ২৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ড্রাগন সোয়েটারের ৭২ কোটি ৬০ লাখ ২৩ হাজার টাকার এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ অ্যাডভেন্ট ফার্মার ৬৯ কোটি ৪৭লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এছাড়া প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৬৫ কোটি ৬৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, ইউনাইটেড পাওয়ারের ৬৫ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার টাকার, এমএল ডাইংয়ের ৬৩ কোটি ৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, খুলনা পাওয়ারের ৬০ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, ইন্দো-বাংলা ফার্মার ৫৮ কোটি ২১ লাখ ৯৯ হাজার টাকার, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকার এবং এসকে ট্রিমসের ৫৫ কোটি ৬৯ লাখ ৬১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ১৩৭ কোটি ৭ লাখ ৪৩ হাজার ১৩০ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৫৬ কোটি ৮০ লাখ ৩৭ হাজার ৫১০ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ১৯ কোটি ৭২ লাখ ৯৪ হাজার ৩৮০ টাকা বা ১২.৫৮ শতাশ কমেছে।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪৪ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩২৬ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৬৮ পয়েন্ট বা ০.৬৯ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ৬ পয়েন্ট বা ০.১৪ শতাংশ এবং সিএসআই ১ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ বেড়ে সপ্তাহ শেষে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৮৭৮ পয়েন্টে, ১ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৭৩ পয়েন্টে। আর সিএসই-৩০ সূচক ৭৬ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৭৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৮৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৮২টির, দর কমেছে ৮৯টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।

সান বিডি/এসকেএস