কাতার ও সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই রোববার রিয়াদে শুরু হচ্ছে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) বার্ষিক সম্মেলন। কাতারকে নিয়ে উত্তেজনায় আঞ্চলিক ঐক্যে টান পড়েছে।
আর সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা নিয়ে সৌদি আরব কূটনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। এমনই এক পরিস্থিতিতে ৬ সদস্য রাষ্ট্রের নেতারা একদিনের বার্ষিক সম্মেলনে বসছেন রিয়াদে। এদিন আলোচনায় জোর দেয়া হতে পারে নিরাপত্তা ইস্যু, ইরানের আঞ্চলিক কর্মকান্ড, তেল রাজনীতি এবং কিছু সদস্যের কাতারকে বর্জনের বিষয়।
তারা হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও জিসিসিভুক্ত সদস্য নয় এমন দেশ মিশর। এ দেশগুলো ২০১৭ সালের জুনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তাদের অভিযোগ, সন্ত্রাসে সমর্থন দিচ্ছে কাতার।
তবে এমন অভিযোগ জোর দিয়ে অস্বীকার করেছে দেশটি। গত সপ্তাহে তারা জোরালোভাবে ঘোষণা দিয়েছে, তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিচ্ছে তারা।
কাতার ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে যে অবরোধ দেয়া হয়েছে এর উদ্দেশ্য হলো কাতারের সার্বভৌমত্বকে খর্ব করা। তা সত্ত্বেও রোববারের সম্মেলনে কাতারের আমিরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা সালমান।
ফলে সম্মেলনে কোন পর্যায়ের প্রতিনিধি পাঠাবে কাতার তা পরিস্কার করে নি দোহা। জিসিসির গত বছরের সম্মেলন বসেছিল কুয়েতে। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন কাতারের আমির। অন্যদিকে ওই সম্মেলনে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন পাঠিয়েছিল জুনিয়র পর্যায়ের কর্মকর্তাদের।
১৯৮০ সালে বৃহৎ প্রতিবেশী ইরান ও ইরাকের বিরুদ্ধে গঠিত হয় জিসিসি। এ গ্রুপের সদস্য হলো সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ওমান, কাতার ও কুয়েত। কিন্তু তেলের নিয়ন্ত্রণ বা কার কতভাগ তেল থাকবে তা নিয়ে রিয়াদের সঙ্গে এ দেশগুলোর এক রকম টানাপড়েন আছে।