আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণায় নেমেছে ঢাকা -১৩আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান। আজ নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হলে এই প্রথম মোহাম্মাদপুরে প্রচারণায় দেখা গেছে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের।
সানবিডির স্থানীয় প্রতিনিধি সূত্রে জানা যায় সাদেক খান তিনি রায়ের বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার কারনে তার নিজ একালায় প্রথমে প্রচারণায় নেমেছেন। আজ রাত সাড়ে সাতটার দিকে মোহাম্মাদপুরের বছিলা রোডে বিভিন্ন বাসায় ও মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে দেখা যায় তাকে। স্থানীয় সবাই তাকে সানন্দে গ্রহণ করছে বলে অভিব্যক্ত করেন তিনি।
মো. সাদেক খান বর্তমানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে বিএ (সম্মান) ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৭৭ সালে মো. সাদেক খান অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সর্ব কনিষ্ঠ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন ৪৭নং ওয়ার্ড ও বর্তমান ৩৪নং ওয়ার্ড থেকে ৪ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
১৯৯৭ সালে ২ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়রেরও দায়িত্ব পালন করেন। মো. সাদেক খান সর্বশ্রেষ্ঠ কাউন্সিলরেরও পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯২ সালে তিনি ৪৭নং ওয়ার্ড ও ১৯৯৬-১৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৩ আসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। চারদলীয় জোট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি একাধিকবার রাজনৈতিক মামলার আসামি হন।
রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থান নির্মাণে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করেন মো. সাদেক খান। শেখ হাসিনা কারাবন্দি হলে তার মুক্তির দাবিতে ৪ লাখ ৫০ হাজার গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন তিনি। ১৯৭৭ সাল থেকে আজ অবধি সব ধরনের উন্নয়নমূলক কাজে মো. সাদেক খান অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি সানবিডি কে বলেন, আমি ঢাকা-১৩ আসনের গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করব । আমাকে যদি এ আসনের জনগণের উন্নয়নের সুযোগ দেয়া হয় তাহলে মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর এলাকাকে একটি আধুনিক নগরে পরিণত করার চেষ্টা করব।