পোশাক শ্রমিকদের জন্য যে মজুরি কাঠামো ঠিক করে দিয়েছে সরকার। তা নিয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। নির্বাচনকে ঘিরে ওই স্বার্থেণ্বেষী মহলটি বিশৃংখলা তৈরির পায়তারা করছে। এ বিষয়ে পোশাক শ্রমিকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।
বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বুধবার রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। গাজীপুর ও আশুলিয়ার বেশকিছু কারখানায় অস্থিরতার খবর পেয়ে সংগঠনটি এই সংবাদ সম্মেলন করে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বেতন নিয়ে পোশাক শ্রমিকদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্মবিরতি পালনে বাধ্য করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে পোশাক খাতে বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। স্বার্থান্বেষী মহলের উসকানিতে পোশাক শ্রমিকদের বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
শ্রমিকদের উদ্দেশে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ন্যূনতম মজুরির গেজেট প্রকাশিত হয় গত ২৯ নভেম্বর, যা বাস্তবায়ন হবে ডিসেম্বর মাসের বেতনে এবং পরিশোধ করা হবে আগামী জানুয়ারির ৭ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে।
তিনি বলেন, আপনাদের কাছে আমাদের একান্ত অনুরোধ, জানুয়ারি মাসে আপনাদের বেতন প্রাপ্তির পর যদি কোনো শ্রমিক ভাই বা বোনের আপত্তি থাকে, তা কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ যদি তা সমাধান না করতে না পারে, তাহলে বিজিএমইএর কাছে আসবেন।
এরপরও যদি মনে করেন আপনি খুশি নন, তাহলে সরকারের কাছে যাবেন। সরকার ঘোষিত নতুন মজুরি পাওয়ার আগে কোনও আন্দোলন করার যৌক্তিকতা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি এসএম মান্নান (কচি), সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির, পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, আ.ন.ম সাইফউদ্দিন প্রমুখ।