বাংলাদেশ-উইন্ডিজ তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলা মাঠে গড়াচ্ছে আজ। ২০০৫ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শুরুর পর পূর্ণ সিরিজে কোনো দলের ত্রি-শিরোপা জয়ের নজির রয়েছে ৩৩টি।
তবে, এ তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। এর আগে একাধিকবার দ্বিপক্ষীয় দ্বৈরথে দুই ফরম্যাটের সিরিজ জিতলেও কখনো ত্রি-শিরোপার দেখা মেলেনি টাইগারদের। এবার টাইগারদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ।
জুন-জুলাইয়ে ক্যারিবীয় সফরে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিল টাইগাররা। ঘুরে দাঁড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। পরে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় দেখে বাংলাদেশ।
এবার নিজ মাটিতে টেস্ট সিরিজে উইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ ও ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জেতার পর বাংলাদেশ দলের সামনে এখন মিশন টি-টোয়েন্টি সিরিজের।
আর টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নামার আগে সতর্ক বাংলাদেশ দল। গতকাল সিলেটে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস বলেন, আমরা ওয়ানডে, টেস্ট সিরিজ জিতেছি ঠিক আছে। তবে, আমাদের মনে রাখতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে উন্মুখ হয়ে আছি। আমরা মরিয়াভাবে জয়ের জন্য চেষ্টা করবো। তারা এই ফরম্যাটে অনেক বড় দল। আমরা জিততে চাই। জিততে পারলে অনেক বড় একটা প্রাপ্তি হবে।
এখন পর্যন্ত সিরিজে ৩৩ ত্রি-শিরোপা জয়ের ঘটনায় সর্বোচ্চ সাতবার এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান জিতেছে ছয়বার ও ভারত-ইংল্যান্ডের এমন জয় রয়েছে পাঁচবার করে। অস্ট্রেলিয়া দুবার এবং শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের একবার এমন নজির রয়েছে।
সিরিজে তিন শিরোপা জয়ের সুযোগ আগেও পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই টেস্ট ও ওয়ানডে জেতার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে হার দেখে টাইগাররা। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও টেস্টের ট্রফিটা হারাতে হয় ১-০ ব্যবধানে।
আর চলতি বছর জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই এমন সুযোগ হাতছাড়া করে টাইগাররা। আর গতকাল স্টিভ রোডস বলেন, এটা অবশ্যই সম্ভব। খেলা ব্যাপারটা অবশ্য এত সহজ নয়। কখনো আপনি জিতবেন, আবার কখনো এমনভাবে হারবেন যার ব্যাখ্যা পাবেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন সিরিজেই হারানোটা যে আমরা দারুণ উপভোগ করবো, তা আমরা জানি। আবার ওরা ক্যারিবিয়ায় খালি হাতে ফিরে যেতে চাইবে না। দুই মিলে দারুণ লড়াই হবে।
ওয়ানডে ফরম্যাটে অনেকদিন ধরেই ভালো খেলছে বাংলাদেশ দল। টেস্ট ফরম্যাটেও ঘরের মাঠে ভালো খেলা শুরু করেছে টাইগাররা। সে তুলনায় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কিছুটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পাওয়ার হিটিং ও শারীরিক শক্তিতে ঘাটতিকে এর কারণ বলে মনে করেন ক্রিকেট বোদ্ধারা। আর উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস বলেন, আমি যখন প্রথম এলাম তখন দলের খেলোয়াড়দের পাওয়ার হিটিং ও শারীরিক শক্তিতে ঘাটতি লক্ষ্য করেছিলাম।
দলের খেলোয়াড়রা ক্যারিবীয়দের মতো শক্ত-সামর্থ্য নয়। তবে, আশার কথা হলো এই দলে বেশ কয়েকজন আছে যারা বড় শট খেলতে পারে। আশা করি তারা নিজেদের সেরাটা মাঠে দিতে পারবে।