জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের জন্মদিন আজ। ক্যারিয়ারের শুরুতেই পাক্কা ‘অভিনেত্রী’র খেতাব পেয়েছেন অনেক গুণী নির্মাতার কাছ থেকে। এবারের জন্মদিনে বিশেষ কোনো আয়োজন আছে কি-না জানতে চাইলে শাবনূর বলেন, না। এবারের জন্মদিনটা পরিবারের সঙ্গেই কাটাব। তবে মাঝ রাতে দুটি কেক কেটেছি। বন্ধু-বান্ধবরা এসে উইশ করে প্রথমে একটা কেক কাটিয়েছে। অন্যদিকে মাঝরাতে ভক্তদের সঙ্গে নিয়ে কেক কেটেছি। আমার কিছু পাগল ভক্ত আছে।
তারাই মূলত কেক, ফুল নিয়ে বাসায় হাজির হয়েছিল। আমি নিজে কিছুই করিনি।
মা রান্না করেছেন। আবার বোন অস্ট্রেলিয়া থেকে এসেছে। তাদের নিয়েই কেটে যাবে আজকের দিন। তবে কোনো অনুষ্ঠান করব না এবার। কারণটা কি জানতে চাইলে বললেন গুণী নির্মাতা আমজাদ হোসেনের কথা।
শাবনূর বলেন, আমজাদ হোসেন বাংলাদেশের না শুধু আমি বলতে চাই এই এশিয়া মহাদেশের সেরা একজন নির্মাতা। উনি যে কি মেধাবী নির্মাতা তা বলে বোঝানো যাবে না। উনার পরিচালনায় ‘কাল সকালে’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ নামের জনপ্রিয় ছবিগুলোতে কাজ করা হয়েছে। অনেক কম কথা বলতেন তিনি।
তবে উনার কথাগুলো শুনলে মনে হতো সব কাজ বন্ধ করে কথাগুলো শুনতেই থাকি। অনেক স্মৃতি আমাদের। ‘গোলাপী এখন বিলেতে’ ছবিতে কাজ করার সময় তো দেড় মাস লন্ডনে ছিলাম। তখন উনার সঙ্গে কাজের বাইরে অনেক কথা হতো। সকালে ঘুম থেকে উঠে পাখির ডাক শুনতে বলতেন। উনি যে কত কিছু জানতেন তা বলে শেষ করা যাবে না। আমার সৌভাগ্য হয়েছে যে উনার সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। উনার মৃত্যুর সংবাদ জানার পর থেকে শুধুই উনার কথা মনে পড়ছে। স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা এহতেশামের হাত ধরে চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করেন শাবনূর।
নব্বইয়ে দশকের চলচ্চিত্রের অন্যতম জনপ্রিয় এই নায়িকা টানা কাজ করেছেন ২০১০ সাল পর্যন্ত। তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসাসফল ছবি। সবশেষ তার অভিনীত ‘পাগল মানুষ’ ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।
চলচ্চিত্রের ঘরোয়া অনুষ্ঠান ছাড়া জনসমক্ষে খুব একটা আসেন না চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় এই মুখ। বর্তমানে কি নিয়ে ব্যস্ততা জানতে চাইলে হাসতে হাসতে বলেন, আমার ঘরে একটা জীবন্ত পুতুল আছে। মানে আমার ছেলে আইজান। তার দেখাশোনা করতে করতে দিন-রাত চলে যায়। কাজের মেয়ের কাছে বাচ্চাকে রেখে যেতে আমার ইচ্ছে করে না। তার দেখাশোনা থেকে শুরু করতে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া সবকিছু আমি করতে পছন্দ করি। চলচ্চিত্র নিয়ে অনেক কিছুই করার ইচ্ছা আছে।
আইজান আরেকটু বড় হলে আবারো কিছু কাজ করার ইচ্ছে আছে আমার। তবে পরিচালনার স্বপ্নটা দেখি। জানিনা শেষ পর্যন্ত কি হবে। তবে আইজানকে নিয়েই বর্তমানে ব্যস্ত আছি এবং ভক্তদের ভালোবাসায় এখনো ভালো আছি, সুস্থ আছি।
এইতো। আল্লাহর কাছে এটাই লাখ লাখ শুকরিয়া। সকলে আমার ও আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন। দীর্ঘদিন ধরেই ঢাকা টু সিডনি (অস্ট্রেলিয়া) নিয়েই ছিল শাবনূরের ব্যস্ততা। গত কয়েক বছর বেশিরভাগ সময় অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন তিনি। তবে এবার সেখানে শিগগির যাচ্ছেন না বলে জানালেন। শাবনূর বলেন, আমার বোনসহ পরিবারের অন্যরা সকলে এখন ঢাকায়। আমি এখনই আর অস্ট্রেলিয়া যাব না। বাংলাদেশ
আমার দেশ, এখানে থাকতে আমি বেশি পছন্দ করি। আর পরিবারের সকলকে নিয়ে থাকাটাও আমার কাছে অনেক আনন্দের।