দিনাজপুরে আমন মৌসুমের পাকা ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শেষ হতে না হতেই কৃষকের মধ্যে বোরো বীজতলা তৈরির ব্যস্ততা বেড়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলার ১৩ উপজেলায় ২ লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকরা জানান, এখনো চলতি আমন মৌসুমের পাকা ধান কাটা শতভাগ শেষ হয়নি। ৩০ ভাগ ক্ষেতে এখনো ধান রয়ে গেছে। বাকি ধান ঘরে তুলতে সময় লাগবে আরো সপ্তাহখানেক।
বিরল উপজেলার ফরক্কাবাদ ইউনিয়নের তেঘরা গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান জানান, তিনি ক্ষেত থেকে ধান কেটে নিয়েছেন। তবে এ এলাকার কিছু জমিতে এখনো পাকা ধান কাটা হয়নি। এরই মধ্যে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে আগাম বোরো বীজতলা তৈরি শুরু করেছেন। নতুন জমি তৈরি হতে ১০-১৫ দিন সময় লাগবে।
একই কথা জানান, সদর উপজেলার মাঝাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ওবাইদুর রহমান। তিনি বলেন, আগাম আমন আবাদ করে এবার তাদের লাভ মুনাফা হয়েছে। তাই তারা আগাম বোরো বীজতলা তৈরি করছেন; যা কিছুদিন পর রোপণ করবেন।
দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. তৌহিদুল ইকবাল বলেন, আগাম বোরো বীজতলা তৈরির জন্য প্রতিটি উপজেলায় কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বীজতলা তৈরির কাজে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন ইউনিয়ন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।