পৌষের বৃষ্টিতে জেঁকে বসেছে শীত। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা কমে শীত আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি কমে যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আজ সকাল পর্যন্ত ঢাকায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে ঢাকায় বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের কাপড় ছাড়া সাধারণত কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। ঘরের মধ্যে শীতে জবুথবু অবস্থা। দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও বেশ শীত পড়ছে বলে জানা গেছে।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে বলেও জানান এই আবহাওয়াবিদ।
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানিয়েছে, আজ থেকেই বৃষ্টি কমে যাবে, পাশাপাশি রাতের তাপমাত্র ক্রমেই কমতে থাকবে।
আজ মঙ্গলবার পৌষের ৪ তারিখ। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিন আগে এই তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি, সোমবার এটা ছিল ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, তাপমাত্রা কমতে কমতে এই মাসের শেষের দিকে বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
বাতাসের তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে হলে মাঝারি ও তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির চেয়ে বেশি থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে হলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে হলে তাকে বলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাস দিতে আবহাওয়া অধিদফতরের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি ডিসেম্বর মাসের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু বা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘পেথাই’ ভারতের অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি অন্ধ্রপ্রদেশ ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।