প্রকাশ্যে এক গাড়িচালককে পিটিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়া সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির ইন্সপেক্টর এনামুল হকের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি টিম সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে সোনারগাঁও উপজেলার গোয়ালী এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে। আটকের পর মেয়রকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে মহাজোটের মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে গণসংযোগ করে ১৫ ডিসেম্বর নিজ গাড়িতে চড়ে বাসায় ফিরছিলেন মেয়র সাদেকুর রহমান।
সোনারগাঁও জাদুঘরের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা বাঁশবোঝাই নসিমনের সঙ্গে তার গাড়ির সংঘর্ষ হয়। এতে মেয়র সাদেকুর রহমানের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে সাদেকুর রহমান গাড়ি থেকে নেমে নিজের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ওই যুবককে মারতে শুরু করেন। মারধরের সময় ওই কিশোর চালক বারবার ক্ষমা চেয়ে আহাজারি করে মেয়রের দুই পা ধরে জড়িয়ে ধরে। এতেও মন গলেনি মেয়রের। উল্টো আরও চটে যান তিনি।
পরে আরও কয়েক দফা তাকে হাতের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
একই সঙ্গে শুরু হয় নিন্দার ঝড়। এর পর এ ঘটনায় জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সবখানে মেয়রের শাস্তির দাবি ওঠে।
পরবর্তী সময় সোমবার দিবাগত রাতে নিজ বাসা থেকে পৌর মেয়র সাদেকুর রহমানকে আটক করে ডিবি। অভিযুক্ত মেয়র বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির (বিসিডিএস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি।