এবারের নির্বাচনে একদম নতুন ভোটার আছে দুই কোটির উপরে। একটা বিশাল সংখ্যক ভোটার এবার জীবনে প্রথম ভোট দেবেন।
দুই দলই বলছে তাদের ইশতেহারে তরুণদের দিকে বাড়তি মনোযোগ থাকবে।
পর পর দুইবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে তারা অন্য কোন সরকারের শাসনকাল অনেক দিন ধরে দেখেননি।
বলা হচ্ছে এবার তাই তরুণ ভোটাররা হয়ত নির্বাচনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি এই দুই দলই তাদের ইশতেহারে তরুণদের দিকে বাড়তি মনোযোগ থাকবে বলে জানিয়েছে।
তরুণদের সাম্প্রতিক দুটি আন্দোলন কিছুটা হলেও ইশতেহারে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে।
তরুণদের জন্য আওয়ামী লীগের ইশতেহারে কি প্রতিশ্রুতি রয়েছে?
আওয়ামী লীগ বলছে মানবসম্পদ উন্নয়নের দিকে, বিশেষ করে তরুণদের মেধা, সৃজনশীল ক্ষমতা কাজে লাগানোর জন্য অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির উপরে বিশেষ জোর দেয়া হবে।
ইশতেহারে তরুণদের জন্য যে অংশটি রয়েছে সেখানে আওয়ামী লীগ আবারো 'ডিজিটাল' শব্দটি গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করেছে।
যে শব্দটি গত দুই বারের সংসদ নির্বাচনে তাদের প্রচারণায় ব্যাপক গুরুত্ব পেয়েছে।
আওয়ামী লীগ আবারো 'ডিজিটাল' শব্দটি গুরুত্বের সাথে ব্যবহার করেছে।
তাদের ইশতেহার বলছে, "সোনার বাংলা' স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানতম শক্তি হচ্ছে যুব শক্তি"। তাদের জন্যে করা আওয়ামী লীগের পরিকল্পনার কয়েকটি হলোঃ
তরুণদের সাম্প্রতিক দুটি আন্দোলন কিছুটা হলেও ইশতেহারে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে।
বিএনপির কি প্রতিশ্রুতি?
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে যে বড় দুটি আন্দোলন হয়েছে সেগুলো তরুণদের আন্দোলন।
একটি হলও কোটা সংস্কার অন্যটি নিরাপদ সড়ক আন্দোলন।
এই দুটি আন্দোলন ক্ষমতাসীন দল সঠিকভাবে সামাল দিতে পারে নি বলে মনে করা হয়। বলা হচ্ছে যার কারণে আওয়ামী লীগের সাথে তরুণদের এক ধরনের দূরত্ব তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে সরকার হিসেবে বিএনপির দক্ষতা যাচাই করার তেমন কোন সুযোগ অনেক তরুণই পায়নি। বিএনপির জন্য এই দুটি বিষয় বিশেষ সুযোগ হতে পারে বলে মনে করা হয়।
কিন্তু সেই সুযোগ বিএনপি কতটা কাজে লাগাতে পারবে সেটি এখনি বোঝা মুস্কিল।
তাদের ইশতেহারে তরুণদের জন্য যা রয়েছে তার কয়েকটি দেখে নেয়া যাক।