অ্যাক্রেডিটেশন সনদ পেতে আগ্রহী দেশিয় ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুসরণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করবে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি)। একই সাথে সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অ্যাক্রেডিটেশনের নতুন আবেদন নিষ্পত্তি এবং পুরাতন সনদ নবায়নের কাজ নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড আয়োজিত “বিএবি অ্যাসেসর রিফ্রেশার্স কোর্স” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড থেকে সনদপ্রাপ্ত দেশিয় ও বহুজাতিক বিভিন্ন টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশন ল্যাবরেটরি, মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন সংস্থায় কর্মরত ৬৬ জন অ্যাসেসর ও কারিগরি বিশেষজ্ঞ অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বিএবি খুব শিগ্গির বাংলাদেশে স্থাপিত দেশিয় ও বহুজাতিক মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি এবং মান পরিদর্শন সংস্থার (ইন্সপেকশন বডি) অনুকূলে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করবে। এ লক্ষ্যে এশিয়া-প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কোঅপারেশনের (এপ্লাক/অচখঅঈ) মূল্যায়ন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এপ্লাকের সাধারণ সভায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদিত হলে, বাংলাদেশ এ বিষয়ে পারস্পরিক স্বীকৃতি চুক্তি স্বাক্ষর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিএবি’র মহাপরিচালক আরও বলেন, গুণগত শিল্পায়নের ধারা বেগবান করতে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের সক্ষমতা জোরদার করা হচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড সম্প্রসারণের পাশাপাশি নতুন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বিশ্ববাণিজ্যের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য অ্যাক্রেডিটেশনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করে তিনি প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান ও ধারণা জাতীয় স্বার্থে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতি আহবান জানান।