কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন। ১৪ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর আজ (শুক্রবার) দেশে আনা হবে আমজাদ হোসেনের মরদেহ। সন্ধ্যা ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে মরদেহ বহনকারী বিমানটি।
হাসপাতালে বকেয়া বিলসহ মরদেহ দেশে আনার আনুষ্ঠানিকতা বাবদ প্রয়োজন ছিল প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দেয়া ৪২ লাখ টাকা চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয়ে যায়।
এদিকে ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে আমজাদ হোসেনের মরদেহ দেশে আনতে হিমসিম খেয়ে যায় তার পরিবার। টাকার জন্য ব্যাংককে পড়ে আছে অসংখ্য দর্শকনন্দিত ছবির নির্মাতা আমজাদ হোসেনের মরদেহ। সেই খবর পেয়ে সব দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই নির্মাতার বড় ছেলে সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, ‘আমার বাবার প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সম্মান দেখালেন তার কৃতজ্ঞতার কি ভাষা থাকতে পারে? আমার জানা নেই। আমার পরিবার কোনোদিন তার এই ঋণ শোধ করতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা ও তত্ত্বাবধানে দেশে আনা হচ্ছে এই পরিচালকের মরদেহ। শনিবার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে আমজাদ হোসেনকে।
আমজাদ হোসেন ‘বাল্যবন্ধু’, ‘পিতাপুত্র’, ‘এই নিয়ে পৃথিবী’, ‘বাংলার মুখ’, ‘নয়নমণি’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সুন্দরী’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘সখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘হীরামতি’, ‘প্রাণের মানুষ’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘কাল সকালে’, ‘গোলাপী এখন ঢাকায়’, ‘গোলাপী এখন বিলেতে’র মতো দর্শকনন্দিত চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন।
১৯৭৮ সালে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’ এবং ১৯৮৪ সালে ‘ভাত দে’ চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আমজাদ হোসেন। এছাড়া জাতীয়ভাবে তিনি অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।