আজ ২২ ডিসেম্বর বছরের শেষ ক্ষণে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলতে নামবে টিম বাংলাদেশ। তিন বছর পর আবার এসেছে সেই তিন ফরম্যাটে সিরিজ বিজয়ের সুবর্ণ সুযোগ। আজ জিততে পারলে সাফল্যের নতুন ইতিহাস রচিত হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটে।
গেল আগস্টে ফ্লোরিডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেখানে টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরে যায় তারা। পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। ফেরে সিরিজের সমতায়। আর শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে সিরিজই জিতে নেয় সাকিব আল হাসানের দল।
তার চার মাস পর একই চিত্রনাট্যেরই যেন পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। সিলেটে টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের দলের কাছে রীতিমতো উড়ে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে সেই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প। সাকিবের দুর্দান্ত অল রাউন্ডিং নৈপুণ্য, সাথে বিধংসী লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং। ম্যাচ জিতে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ।
আজ তাই তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিটি সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে পরিণত হয়েছে। আগস্টে বাংলাদেশ খেলেছিল দেশের বাইরে। কিন্তু গ্যালারিতে কমতি ছিল না লাল-সবুজের সমর্থকদের। ফ্লোরিডা ও আশেপাশের বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্য থেকে বাংলাদেশিরা গিয়ে জড়ো হয়েছিল ফ্লোরিডার সেন্ট্রাল রিজওনাল পার্ক স্টেডিয়ামে। ফলে মিরপুর আর ফ্লোরিডার পার্থক্য ঘুচে গিয়েছিল অনেকটাই।
সেই দর্শকদের অনুপ্রেরণায়ই সেবার গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল। মিরপুর তো বাংলাদেশ ক্রিকেটের হোম গ্রাউন্ড। এখানকার দর্শক, এখানকার কন্ডিশন টাইগারদের হাতের রেখার মতো চিরচেনা। সেই অনুপ্রেরণা থাকবে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচেও।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে মোটেও বিচলিত নয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এসেছিলেন কেমো পল। তার কণ্ঠেও ছিল সিরিজ জয়ের প্রত্যয়, ‘কঠিন একটা সিরিজ যাচ্ছে আমাদের। (টেস্টের পর) ওয়ানডে হারলাম। এখন টি-টুয়েন্টি সিরিজ চলছে। এখনো আমরা আত্মবিশ্বাসী। মাঠে নামব এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব, বিষয়টা এখন এটাই। আমাদের এখন ১১০ শতাংশ দিয়ে খেলতে হবে যদি কাল সিরিজটা জিততে চাই।’