গত ১ অক্টোবর ভারতে চিনি উৎপাদনের নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে। মৌসুমের প্রথম আড়াই মাসে (১ অক্টোবর-১৫ ডিসেম্বর) দেশটিতে চিনি উৎপাদন আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশের বেশি বেড়ে সাড়ে ৭০ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসএমএ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ইকোনমিক টাইমস ও বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
আইএসএমএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ মৌসুম শুরুর পর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের চিনিকলগুলোয় সব মিলিয়ে ৭০ লাখ ৫২ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ মৌসুমের প্রথম আড়াই মাসে দেশটিতে ৬৯ লাখ ৪ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে ভারতে অতিরিক্ত ১ লাখ ৪৮ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী এবারের মৌসুমের প্রথম আড়াই মাসে পুরো ভারতে ৪৬২টি চিনিকল পুরোদমে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। আগের মৌসুমের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ৪৭৬। এর পরও দেশটিতে চিনি উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি বজায় ছিল।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সবচেয়ে বেশি চিনি উৎপাদন হয়। চলতি মৌসুমে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ রাজ্যে ১৭৮টি চিনিকল উৎপাদন কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আইএসএমএ। উৎপাদন হয়েছে ২৯ লাখ টন চিনি, যা আগের মৌসুমের একই সময়ের তুলনায় ৩ লাখ ৩০ হাজার টন বেশি।
এ সময় উত্তর প্রদেশের ১১৬টি চিনিকলে সব মিলিয়ে ১৮ লাখ ৯৪ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। আগের মৌসুমের একই সময়ে এ রাজ্যে ২৩ লাখ ৩৭ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল। একইভাবে গত আড়াই মাসে কর্ণাটকের ৬৩টি চিনিকলে সব মিলিয়ে ১৩ লাখ ৯৪ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছে। গত মৌসুমের একই সময়ে এ রাজ্যে ১১ লাখ ২৪ হাজার টন চিনি উৎপাদন হয়েছিল।