ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা হিসেবে ইতোমধ্যেই বিটকয়েন বেশ জনপ্রিয়। তবে বিটকয়েনের একচ্ছত্র বাজারে ভাগ বসাতে ফেসবুক বাজারে নিয়ে আসছে ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা। তবে ফেসবুকের এই ডিজিটাল ক্যাশ সিস্টেমের এখনও পর্যন্ত কোনো নাম ঠিক হয়নি। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে এ মুদ্রা বিনিময় করা যাবে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে তার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য সান পত্রিকা জানিয়েছে, বিটকয়েনের মতো যেনো দাম ওঠানাম না করে ফেসবুক তার মুদ্রার বিষয়ে সেদিনে নজর দিচ্ছে। এর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ মানি ট্রান্সফার ও পেমেন্ট সিস্টেম যুক্ত করা হবে। এটি ফেসবুক মার্কেটপ্লেসের জন্য দারুণ কাজে আসবে। শুরুতেই ফেসবুক তার এই মুদ্রা ভারতের বাজারে পরীক্ষা করে দেখবে বলে জানা গেছে।
ফেসবুকের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ব্লকচেইন–প্রযুক্তির ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখছে ফেসবুক এবং এর ক্রিপ্টো–প্রযুক্তি অনেক ধরনের অ্যাপ্লিকেশনে ব্যবহারের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনো বিষয়টি উন্নয়নের পর্যায়ে রয়েছে।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিনপসিসের বিশ্লেষক স্টিভ গিগুয়েরি বলেন, নতুন ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রযুক্তি খাতে পা রাখতে যাচ্ছে ফেসবুক।
এতে ব্যবহারকারীর ওয়ালেট শনাক্ত করার যে ধারণা, সেটি বেশি ঝুঁকির। এ ছাড়া ওয়ালেট অ্যাপ্লিকেশন হ্যাকের ঝুঁকিও থাকছে। এ ধরনের গবেষণার ফল আসতে এখনো দেরি আছে। এর আগে ফেসবুককে ব্যক্তিগত তথ্যসংক্রান্ত বিষয়ে পরিষ্কার হতে হবে। তা ছাড়া ফেসবুকের ওপর আস্থা রেখে সাধারণ জনগণ ফেসবুকে টাকা রাখবে না।