সফল হতে পারেনি ২৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০১৮-১২-২৪ ১২:০০:৪৭
গত এক দশকে দেশে চিকিৎসক তৈরিতে অনুমোদন দেয়া হয়েছে ২৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ।
কিন্তু গত দশকে এই বেসরকারি মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট, অনুমোদনবিহীন শিক্ষার্থী ভর্তি, জমি বা ফ্লোর স্পেস স্বল্পতা, শয্যা অনুযায়ী রোগীর স্বল্পতা, লাইব্রেরি ও শ্রেণীকক্ষের অভাব রয়েছে বেসরকারি এসব মেডিকেল কলেজে। এ জন্য এসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ গত দশকে ভালো করতে পারেনি।
বিশিষ্ট মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষাবিদ ও ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেডিকেল এডুকেশনের সিনিয়র অ্যাডভাইজার অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় একদিকে অনিয়ম করে আসনের অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। আবার শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ ও অবকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে না। সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় এ ধরনের সমস্যা বিশেষ করে অবকাঠামো ও শিক্ষক সংকট রয়েছে। এর ফলে দেশের মেডিকেল শিক্ষার মান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। তৈরি হচ্ছে না দক্ষ চিকিৎসক, যার প্রভাব পড়ছে সার্বিক চিকিৎসা সেবায়।
অপর্যাপ্ত অবকাঠামো নিয়ে কার্যক্রম চালানো বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর একটি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর ভুইয়া মেডিকেল কলেজ। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, হাসপাতালে পর্যাপ্তসংখ্যক রোগী, প্রয়োজনীয় শিক্ষক কোনোটিই নেই মেডিকেল কলেজটিতে।
মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে নীতিমালা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অভিযোগও রয়েছে গত এক দশকে অনুমোদন পাওয়া বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজের বিরুদ্ধে। বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা নীতিমালার শর্ত পূরণ না করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় ২০১৬-১৭ সালে নয়টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর মান এখনো ভালো হয়ে ওঠেনি। যেসব মেডিকেল কলেজ নির্ধারিত সময়ের পরও ভালো করতে পারেনি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। তবে অনেকে আইনের আশ্রয় নিয়ে আবার তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সব সমস্যার সমাধানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কাজ করে যাচ্ছে।