চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে আর্জেন্টিনায় বৃষ্টিপাত বেশি হয়েছে। পরবর্তী সময়ে বেশকিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। সব মিলিয়ে প্রতিকূল আবহাওয়ার মুখে পড়েছে আর্জেন্টিনার গম উৎপাদন খাত। এর পরও বছর শেষে দেশটিতে রেকর্ড সর্বোচ্চ গম উৎপাদন হতে পারে বলে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিস। খবর এগ্রিমানি ও ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম।
গম উৎপাদনকারী দেশগুলোর শীর্ষ তালিকায় আর্জেন্টিনার অবস্থান বিশ্বে নবম। অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণের পর প্রতি বছর দেশটি থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গম রফতানি হয়। কৃষিপণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক তালিকায় দেশটির অবস্থান ষষ্ঠ। ইউএসডিএর প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের পর থেকে আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। ওই সময় দেশটিতে মোট ১ কোটি ১৩ লাখ টন গম উৎপাদন হয়েছিল।
২০১৬ সালে আর্জেন্টিনায় গম উৎপাদন ৬২ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৮৪ লাখ টনে। এক বছরের ব্যবধানে ২০১৭ সালে দেশটিতে সব মিলিয়ে ১ কোটি ৮৫ লাখ টন গম উৎপাদন হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ, এক বছরে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ টন।
প্রতিকূল আবহাওয়া পাশ কাটিয়ে দেশটির গম উৎপাদন খাতে চলতি বছরও প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বজায় থাকতে পারে। ইউএসডিএর সাম্প্রতিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০১৮ সাল শেষে আর্জেন্টিনায় সব মিলিয়ে ১ কোটি ৯৫ লাখ টন গম উৎপাদন হতে পারে, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ এক বছরে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির উৎপাদন বাড়ছে ১০ লাখ টন। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে এটাই গম উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড।