ভারতের চা উৎপাদনকারী রাজ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আসাম। স্থানীয় বাগানগুলোয় উৎপাদিত চায়ের সুনাম ভারতের সীমানা ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও রফতানি হয় আসামের চা। এ অঞ্চলের দেশগুলোয় আসামের প্রচলিত চায়ের রফতানি আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (আইটিএ)। এ লক্ষ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় ব্র্যান্ডিং করা হবে আসামের প্রচলিত জাতের চা। খবর ইকোনমিক টাইমস।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানে আসামে উৎপাদিত প্রচলিত জাতের চায়ের জনপ্রিয়তা বেশি। আইটিএর হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে আসাম থেকে ইরানে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৮০ লাখ কেজি প্রচলিত জাতের চা রফতানি হয়েছে। তবে ইরানের পাশাপাশি সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও ভারতীয় চায়ের বড় বাজার রয়েছে। বিশেষত এসব দেশে বসবাসকারী বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নিজ দেশের চা খেতে পছন্দ করে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এসব দেশে আসাম থেকে প্রচলিত জাতের চা রফতানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে আইটিএ।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আসামের বাগানগুলোয় হাতে উৎপাদিত ও জিআই ট্যাগযুক্ত প্রচলিত জাতের চায়ের ব্র্যান্ডিং করা হবে। বিশেষত এসব অঞ্চলের দেশগুলোয় আয়োজিত বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনীতে আসাম থেকে চা পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর আমদানিকারকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে রফতানি শুরুর উদ্যোগ নেয়া হবে। এর ফলে আসামের পাশাপাশি ভারতীয় চা শিল্পের বিকাশ আরো ত্বরান্বিত হওয়ার জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।